রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে ‘নিউক্লিয়ার ডে’ পালন

গত কয়েক বছরের মতো এবারও ‘নিউক্লিয়ার ডে’ পালন করছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প। বাংলাদেশের পরমাণু ক্লাবে প্রবেশের দিনটিকে স্বরণ করে নিউক্লিয়ার ডে হিসেবে পালন করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।
Rooppur.jpg
‘নিউক্লিয়ার ডে’ উপলক্ষ্যে দিনভর নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প। ছবি: স্টার

গত কয়েক বছরের মতো এবারও ‘নিউক্লিয়ার ডে’ পালন করছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প। বাংলাদেশের পরমাণু ক্লাবে প্রবেশের দিনটিকে স্বরণ করে নিউক্লিয়ার ডে হিসেবে পালন করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।

এ উপলক্ষে আজ সোমবার সকাল থেকে দিনভর নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প।

করোনা পরিস্থিতির কারণে এ বছর আনুষ্ঠানিক র‌্যালি করা না হলেও প্রকল্প এলাকায় পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের পরিচালক ড. শওকত আকবর। এসময় প্রকল্প পরিচালনার কাজে নিয়োজিত দেশি-বিদেশি এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রকল্প পরিচালক বলেন, ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাংলাদেশের গর্বের একটি প্রকল্প। এ প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে নিউক্লিয়ার ক্লাবের সদস্য হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের কংক্রিট ঢালাইয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্ব পরমাণু ক্লাবে সংযুক্ত হয়েছে, আর এ কারণেই এ দিনটিকে স্মরণ করে পরমাণু দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়।’

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন ভিভিইআর-১২০০ মডেলের দুটি পারমাণবিক চুল্লি স্থাপন করা হবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকায়। রাশিয়ার ডিজাইন ও তাদের আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় দেশের প্রথম এ পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ করছে বাংলাদেশ।

১২ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগে ঢাকা থেকে ১৬০ কিলোমিটার দূরে পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুরে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য মহাযজ্ঞ চলছে। ২০১৫ সালে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে আনুষ্ঠানিক চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার পর থেকে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে দেশের প্রথম ও ব্যয়বহুল এ বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের দুটি ইউনিটের মধ্যে প্রথম ইউনিটের নির্মাণ কাজের জন্য ইতিমধ্যে রাশিয়া থেকে রিয়্যাক্টর প্রেশার ভেসেলসহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির সিংহভাগ প্রকল্প এলাকায় এসে পৌঁছেছে এ মাসেই। বর্তমানে প্রকল্প এলাকায় যন্ত্রপাতি নামানোর কাজ চলছে। সব কাজ শেষ হলে আগামী বছরের প্রথমেই রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম রিয়্যাক্টর বিল্ডিংয়ে যন্ত্রপাতি স্থাপনের কাজ শুরু হবে। একইসঙ্গে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের দ্বিতীয় ইউনিটের নির্মাণ কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের পরিচালক ড. শওকত আকবর বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দেশের সর্ববৃহৎ এ প্রকল্পের কাজ নিরবিচ্ছিন্নভাবে এগিয়ে চলছে। দেশের প্রথম এ পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ শেষ হলে দেশে বিদ্যুতের চাহিদা পূরণে বিরাট ভূমিকা রাখবে। চুক্তি অনুযায়ী প্রকল্পের কাজ ঠিক পথে এগিয়ে চলেছে, ফলে ২০২৩ সালে প্রথম ইউনিট থেকে ১২০০ মেগাওয়াট ও পরবর্তী বছর দ্বিতীয় ইউনিট থেকে আরও ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য একটি পাবলিক ইনফরমেশন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। আজ সোমবার বিকালে ঈশ্বরদী পুরাতন পৌরসভা ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প কর্মকর্তারা।

Comments

The Daily Star  | English

Fashion brands face criticism for failure to protect labour rights in Bangladesh

Fashion brands, including H&M and Zara, are facing criticism over their lack of action to protect workers' basic rights in Bangladesh, according to Clean Clothes Campaign (CCC)..One year after a violent crackdown by state actors and employers against Bangladeshi garment workers protesting

7m ago