শরিফুল-মোস্তাফিজের তোপে চট্টগ্রামের হ্যাটট্রিক জয়

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে টানা তৃতীয় ম্যাচে জিতল চট্টগ্রাম। এবার বরিশালকে তারা হারাল ১০ রানে
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

ব্যাট করার জন্য বেশ ভালো উইকেটে বড় রানের সুযোগ হাতছাড়া করল গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। শেষ দিকে সৈকত আলির ঝড়ে তারা পেল লড়াইয়ের পূঁজি। জবাবে ফরচুন বরিশালেরও একই দশা। থিতু হয়ে ফিরলেন তামিম ইকবালরাও। শরিফুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমানদের তোপে দেড়শো রানই হয়ে গেল বিশাল চূড়া।

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে টানা তৃতীয় ম্যাচে জিতল চট্টগ্রাম। এবার বরিশালকে তারা হারাল ১০   রানে। আগে ব্যাট করে চট্টগ্রামের ১৫১ রানের জবাব ২০ ওভার টিকেও ম্যাচ বের করতে পারেনি তামিমের দল । শরিফুল ২৭ রানে ৩ উইকেট, মোস্তাফিজ ২৩ রানে নেন ৩ উইকেট।

রান তাড়ায় এদিনও তামিমের সঙ্গী মেহেদী হাসান মিরাজ। বরিশালের ব্যাটিং অর্ডারে চার বাঁহাতি দেখে তিন অফ স্পিনার নিয়ে খেলল চট্টগ্রাম। রান আটকে রাখার কাজটা বেশ ভালই করলেন তারা। তাদের তৈরি করা চাপে পরে ছড়ি ঘোরান দুই পেসার।

shariful islam & Mustafizur Rahman
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

প্রথম ওভারে শূন্য রানে সহজ ক্যাচ দিয়েছিলেন মিরাজ। অফ স্পিনার নাহিদুল ইসলামের বলে মিড অফে তা জমাতে পারেননি মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত । পরে শরিফুলের বলে বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ ছাড়েন সৈকত আলি, উলটো হয়ে যায় ছক্কা। তৃতীয়বার আর রক্ষে হয়নি মেহেদী হাসান মিরাজের। শরিফুলের বলেই কট এন্ড বোল্ড হয়ে বিদায় নেন তিনি।

ওয়ানডাউনে নামা পারভেজ হোসেন ইমনও দায়িত্ববোধের পরিচয় দিতে পারেননি। মোস্তাফিজুরের বলে টাইমিংয়ের গড়বড়ে তার বিদায় ১১ রান করে। অধিনায়ক তামিম এক পাশ ধরে রেখে দলকে পথে রেখেছিলেন। থিতুও হয়েছিলেন। কিন্তু মাঝপথে ইতি টানেন তিনিও। মোসাদ্দকের অফ স্পিনে লং অফে সহজ ক্যাচ দেওয়ার সময় তার রান ৩২ বলে ৩২।

আগের দুই ম্যাচেই হতাশ করেছিলেন আফিফ হোসেন। এই ম্যাচে তার কাছে দলের দাবি ছিল সবচেয়ে বেশি। এদিনও সে দাবি মেটাতে পারেননি তিনি। দারুণ কোন চমক দিয়ে বের করতে পারেননি ম্যাচ। আফিফের ২২ বলে ২৪ রানের ইনিংস শেষ হয়ে শরিফুলের বলে বোল্ড হয়ে।  এর আগে তৌহিদ হৃদয় আর ইরফান শুক্কুর বাজে শটে বিদায় নিলে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বরিশাল।

দুপুরে টস হেরে ব্যাট করতে গিয়ে চট্টগ্রামের ইনিংসে ছিল সুযোগ হাতছাড়া করার মিছিল। বেশ কয়েকজন থিতু হয়েও লম্বা করতে পারেননি ইনিংস। সবচেয়ে বেশি দায় পড়বে লিটন দাস আর মোহাম্মদ মিঠুনের। এই দুজন খেলছিলেন সবচেয়ে স্বচ্ছন্দে। দারুণ সব শটে সহজেই রান আনছিলেন তারা। তবে লিটন ২৫ বলে ৩৫ করে দিয়েছেন সহজ ক্যাচ। মিঠুনের ১৩ বলে ১৭ রানের ইনিংস শেষ হয় বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়ে।

মাঝে শামসুর রহমান শুভ ২৮ বলে ২৬ করে ফেরেন, মোসাদ্দেক এক প্রান্ত ধরে ২৪ বলে করেন ২৮। তবে শেষ দিকে কাজের কাজটা করেছেন সৈকত আলি। মুমিনুলের বদলে নামা এই অলরাউন্ডারের মাত্র ১১ ৩ ছক্কায় ২৭ রানের ক্যামিওতেই দেড়শো পেরোয় চট্টগ্রাম। বোলারদের কৃতিত্বে ওই রানেই ম্যাচ বের মুঠোয় নিয়েছে তারা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম   ২০ ওভারে ১৫১/৬  (লিটন ৩৫,  সৌম্য ৫ , মিঠুন ১৭, শামসুর ২৬,মোসাদ্দেক ২৮ , জিয়া ২, সৈকত  ২৭*, নাহিদুল ৮* ; সুমন ১/৩১, তাসকিন ১/৩০, রাহি ২/৪২, কামরুল ১/২৩, মিরাজ ১/২৫)

ফরচুন বরিশাল: ২০ ওভারে ১৪১/৮   (মিরাজ ১৩, তামিম ৩২, পারভেজ  ১১, আফিফ ২৪,  হৃদয় ১৭,  ইরফান ২, অঙ্কন  ১০, তাসকিন ২, সুমন ১৫* , কামরুল ২*  ; নাহিদুল ০/২৬,, শরিফুল  ৩/২৩, মোসাদ্দেক ১/১৭, সঞ্জিত ০/২০, মোস্তাফিজ ৩/২৩,  সৌম্য ১/২০)

ফল: গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম ১০ রানে জয়ী।

Comments

The Daily Star  | English

Ex-public administration minister Farhad arrested

Former Public Administration minister Farhad Hossain was arrested from Dhaka's Eskaton area

3h ago