ভারতে কৃষক বিদ্রোহ
ভারতে বিতর্কিত কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে কৃষকদের ব্যাপক বিক্ষোভের মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সোমবার সকালে কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমারের সঙ্গে আবারও বৈঠক করেছেন।
এর আগে, গতরাতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং কৃষিমন্ত্রী তোমারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসেন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
দেশব্যাপী কৃষকদের ব্যাপক বিক্ষোভ ও দিল্লি অবরোধের মুখে অমিত শাহ কৃষকদের আন্দোলনের স্থান পরিবর্তনের অনুরোধ করেন। স্থান পরিবর্তন করলে সরকার কৃষকদের 'প্রতিটি সমস্যা ও দাবি' নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত বলে জানান তিনি। শর্ত প্রত্যাখ্যান করে দিল্লির পাঁচটি প্রবেশমুখ অবরোধের কথা জানিয়েছে বিক্ষুব্ধ কৃষকেরা। কৃষক নেতারা জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
গত কয়েকদিন ধরে জলকামান, টিয়ার গ্যাস ও পুলিশ ব্যারিকেডের বাঁধা অতিক্রম করে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা থেকে রাজধানী অভিমুখে আসেন হাজারো কৃষক। বিতর্কিত কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভকারীরা নয়াদিল্লির সোনিপাট, রোহটাক, জয়পুর, গাজিয়াবাদও মথুরা, পাঁচটি প্রবেশমুখ অবরোধের কথা জানায়। দিল্লি পুলিশ আজ সকালে প্রতিবেশী হরিয়ানা রাজ্যের মূল রাস্তাগুলি বন্ধ থাকায়, যাত্রীদের বিকল্প পথে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ নতুন কৃষি আইনের ইতিবাচক দিক তুলে ধরে বক্তব্য দেন। নতুন আইনের ফলে কৃষকরা দেশের ও আন্তর্জাতিক বাজারে আরও ভালোভাবে ঢুকতে পারবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। সেইসঙ্গে বিরোধী দল কৃষকদের বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন মোদি। বিক্ষোভকারীরাএ বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
কৃষি শ্রমিক ইউনিয়ন নেতারা বলছেন, প্রায় তিন লাখ কৃষক বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নিচ্ছে। গত দুই মাস ধরে নতুন কৃষি আইনের বিরোধিতা করছেন তারা।
আন্দোলনকারীদের মধ্যে একজন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গতরাতে মারা গিয়েছেন। গত সপ্তাহে কৃষকদের দিল্লি অভিমুখে যাত্রা শুরুর পর এটি দ্বিতীয় মৃত্যু।
কংগ্রেসনেতা রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী জনসাধারণকে কৃষক আন্দোলনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বলে জানায় হিন্দুস্তান টাইমস।
আরও পড়ুন-
Comments