আদিতমারী উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক সাময়িক বরখাস্ত

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক ইমরুল কায়েসকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
আদিতমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক ইমরুল কায়েস। ছবি: সংগৃহীত

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক ইমরুল কায়েসকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

আজ সোমবার আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

সোমবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-সচিব নুমেরী জামান প্রজ্ঞাপনটি জারি করেন।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিনসহ ১৮জন কর্মকর্তার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ছয়টি বিষয়ে অভিযুক্ত করে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুক ইমরুল কায়েসকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।

বরখাস্ত হওয়া চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার বিভাগের অভিযোগগুলোর মধ্যে আছে- সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে অসদাচরণ, দুর্ব্যবহার, গালিগালাজসহ হুমকি। উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরে আর্থিক বিষয়ে অনৈতিক দাবি আদায়ের চেষ্টা। উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা নুরেলা আখতারের সঙ্গে অশোভন আচরণ।

উপজেলা পরিষদ আইন ১৯৯৮ সালের এবং সংশোধিত আইন ২০১১ এর ১৩(খ)(১) ধারা অনুসারে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদ থেকে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়। একইসঙ্গে চেয়ারম্যানের সব কার্যক্রমসহ আর্থিক ক্ষমতা দেওয়া হয় উপজেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন রায়কে।

উল্লেখ্য, গত ১২ নভেম্বর আদিতমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুকের বিরুদ্ধে ইউএনওসহ ১৮ জন কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক (ডিসি) বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে, ওই অভিযোগ তদন্ত করে গত ১৬ নভেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠায় জেলা প্রশাসন। এরপর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি হিসেবে গত ২৪ নভেম্বর সরেজমিন তদন্ত করেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল ওহাব ভূঞা।

এছাড়া, গত ১৫ নভেম্বর নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আদিতমারী থানায় জিডি করেন ইউএনও মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন। একই দিন যৌথ স্বাক্ষরিত উপজেলার রাজস্ব তহবিলের ব্যাংক হিসাবের ১৯টি চেকের পাতা ছিঁড়ে ফেলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুক ইমরুল কায়েস। যা নিয়েও আদিতমারী থানায় জিডি করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের স্টেনোটাইপিস্ট হাবিবুর রহমান। 

অন্যদিকে, ১৬ নভেম্বর নিজের নিরাপত্তা চেয়ে ইউএনও’র বিরুদ্ধে আদিতমারী থানায় জিডি করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুক।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

8h ago