আগামী বছর বিশ্ব শান্তি সম্মেলন আয়োজন করবে বাংলাদেশ

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী বছর বিশ্ব শান্তি সম্মেলন আয়োজন করবে বাংলাদেশ। বিশ্বজুড়ে শান্তি ও সহনশীলতার সংস্কৃতিকে শক্তিশালী করতে এই আয়োজন হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। ফাইল ছবি

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী বছর বিশ্ব শান্তি সম্মেলন আয়োজন করবে বাংলাদেশ। বিশ্বজুড়ে শান্তি ও সহনশীলতার সংস্কৃতিকে শক্তিশালী করতে এই আয়োজন হবে।

মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ভার্চুয়াল ‘বঙ্গবন্ধু লেকচার সিরিজ’-এর প্রথম দিনে এই সম্মেলনের কথা জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন বলেন, সংঘাত নিরসনে আলোচনা, কূটনীতি ও শান্তিপূর্ণ উপায়ের পথনির্দেশক ছিলেন বঙ্গবন্ধু। বর্ণ, জাতি পরিচয়, ধর্ম,  নির্বিশেষে সবাইকে দৃঢ়ভাবে সহনশীলতার সংস্কৃতি ধারণ করতে হবে।

‘বঙ্গবন্ধু লেকচার সিরিজ’-এর প্রথম দিনে আজ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন আগামী মাসে বঙ্গবন্ধুর ওপর প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন। আগামী বছর জুড়ে প্রতি মাসে দেশ-বিদেশের বিশিষ্টজনেরা এই লেকচারে অংশ নেবেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শান্তি ছাড়া কোনো উন্নয়ন ঘটতে পারে না। আর অশান্তি তখনই তৈরি হয় যখন ভিন্ন বিশ্বাস ও মতের মধ্যে যখনই সহনশীলতার ঘাটতি দেখা যায়।

মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের বাস্তুচ্যুত হওয়ার পেছনে অসহনশীলতার বিষবাষ্পকে দায়ী করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্রনীতি—সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়—প্রসঙ্গ টেনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখনও এই নীতি মেনে সংঘাত ও যুদ্ধের বিরোধিতা করে।

Comments