রবিউলের স্পিনেই কাত তামিমরা
ব্যাটিং নির্ভর স্পিন অলরাউন্ডার হিসেবেই ঘরোয়া ক্রিকেটে পরিচিতি রবিউল ইসলামের। মন্থর উইকেটে অনিয়মিত এই অফ স্পিনারই হয়ে উঠলেন দুর্ধর্ষ। তার ঘূর্ণিতে খাবি খেয়ে ফের ব্যাটিংয়ে বেহাল দশা দেখাল তামিম ইকবালের দল।
বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে বুধবারও দেখা গেল ব্যাটসম্যানদের অস্বস্তিময় সময়। বেক্সিমকো ঢাকার বিপক্ষে আগে ব্যাটিং পেয়ে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে মাত্র ১০৮ রান করেছে ফরচুন বরিশাল। বরিশালকে ধসিয়ে ঢাকার রবিউল চার ওভার বল করে ২০ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট।
এদিন একাদশে দুই বদল নিয়ে নেমেছিল বরিশাল। মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের জায়গায় নেমেছিলন সাইফ হাসান, পেসার সুমন খানের জায়গায় স্পিনার তানবির ইসলাম। সাইফ নামেন তামিমের সঙ্গে ওপেন করতে।
আগের ম্যাচগুলোতে ওপেন করা মেহেদী হাসান মিরাজ ছিল এই পজিশনে ব্যর্থ। ওপেনের বদলেও সেই একই ছবি। কিছুটা মন্থর উইকেটে দেখেশুনে শুরুর পর কিছুটা থিতু হওয়ার আভাস ছিল সাইফের মাঝে। পঞ্চম ওভারে এই ব্যাটসম্যানকে এলবিডব্লিওর ফাঁদে ফেলেন রবিউল। মাঠের আম্পায়ারের নাকচের পর রিভিউ নিয়ে সফল হয় তারা। ঠিক পরের বলেই উইকেট আত্মাহুতি দিয়ে গোল্ডেন ডাক নিয়ে ফেরেন পারভেজ হোসেন ইমন।
এই তরুণ মুখোমুখি প্রথম বলেই এগিয়ে এসে ক্যাচ তুলে দেন আকাশে। খানিক পর নেই আফিফ হোসেনও। আবারও শিকারি সেই রবিউল। প্রথম কয়েকটি বল ডট খেলার চাপ থেকে আফিফ লং অফ দিয়ে মারতে গিয়ে দিয়েছেন সহজ ক্যাচ। করতে পারেননি কোন রান।
২৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর বরিশাল কিছুটা স্বস্তি পেয়েছিল তামিম ও তৌহিদ হৃদয়ের জুটিতে। কিন্তু রানরেটের চাপ ক্রমশ তাড় দিচ্ছিল তাদের। তামিম কাবু হলেন তেমন পরিস্থিতিতে। রবিউলের অনেক শর্ট বলে পুল করে ক্যাচ দিয়েছেন মিড উইকেটে। বরিশাল অধিনায়ক আউট হন ৩১ বলে ৩১ করে।
প্রেসিডেন্ট’স কাপের ছন্দ সেখানেই রেখে আসা ইরফান শুক্কুর করেন আরেকবার হতাশ। তার উইকেট তুলেছেন নাঈম হাসান। নাঈম তার চার ওভার থেকে দিয়েছেন কেবল ৮ রান।
তৌহিদ হৃদয় টিকেছিলেন শেষ পর্যন্ত। বাকি রান বাড়িয়েছেন তিনিই। ৩৩ বলে ৩৩ করে ১৯তম ওভারে পেসার শফিকুলকে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। দল কোনমতে তিন অঙ্ক পেরুলেও এই পূঁজি নিয়ে লড়াই করা খুবই কঠিন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ফরচুন বরিশাল: ২০ ওভারে ১০৮/৮ (তামিম ৩১, সাইফ ৯ , ইমন ০, আফিফ ০, হৃদয় ৩৩, শুক্কুর ৩ , মিরাজ ১২, তাসকিন ৬, তানবির ৩, কামরুল ১ ; শফিকুল ২/১০, রুবেল ১/৩০ , নাসুম ০/২৪, নাঈম ১/৮, রবিউল ৪/২০, মুক্তার ০/৯)
Comments