৮ মাস ধরে বন্ধ নাজিরগঞ্জ-জৌকুরা ফেরি সার্ভিস
পাবনা ও রাজবাড়ী জেলা দুটির মাঝখান দিয়ে বয়ে গেছে পদ্মা নদী। দুই জেলার যোগাযোগ সহজ করতে দীর্ঘ দিন ধরে সড়ক ও জনপথ বিভাগ নাজিরগঞ্জ-জৌকুরা রুটে ফেরি সার্ভিস পরিচালনা করছিল। নব্যতা সংকটে আট মাস ধরে বন্ধ আছে দুই জেলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ফেরি সার্ভিসটি।
ফলে ছোট নৌকা ও আনফিট লঞ্চে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন শত শত যাত্রী এই পথ পারি দিয়ে দুই জেলায় যাতায়াত করছেন। সড়ক বিভাগ জানিয়েছে, সক্ষমতা না থাকায় নব্যতা সংকট দূর করে আবারও ফেরি সার্ভিস চালু করা সম্ভব হচ্ছে না।
রাজবাড়ী সদর উপজেলার বাসিন্দা এনামুল হক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘পাবনা থেকে সড়ক পথে রাজবাড়ীতে যেতে সময় এবং খরচ বেশি লাগে। যে কারণে আমরা নদীপথ ব্যবহার করি।’
নাজিরগঞ্জ ফেরিঘাট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ফেরি সার্ভিস বন্ধ থাকায় ফেরিঘাটে আনফিট লঞ্চ আর ইঞ্জিন নৌকায় প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শত শত যাত্রী পার হচ্ছেন। তবু দিতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া।
রাজবাড়ী জেলার আফরা গ্রামের বাসিন্দা মো. রনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ফেরি চালু থাকলে ৫০ টাকা দিয়ে সহজেই নদী পার হওয়া যেত। ভাঙা লঞ্চ আর নৌকায় নদী পার হতে এখন ৮০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। পাবনা থেকে রাজবাড়ী জেলার দূরত্ব নদীপথে মাত্র ৪৭ কিলোমিটার আর সড়ক পথে কুষ্টিয়া হয়ে রাজবাড়ীতে যেতে প্রায় ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার পথ ঘুরতে হয়। রাজবাড়ী হয়ে ফরিদপুরের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ ছিল। ফেরি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে বাসগুলো বন্ধ হয়ে গেছে।’
নাজিরগঞ্জ-জৌকুরা ফেরি সার্ভিসের ম্যানেজার নুরুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘নব্যতা সংকটের কারণে এ বছরের মার্চ মাস থেকে ফেরি চলাচল বাধাগ্রস্ত হতে শুরু করে। কয়েকবার বন্ধও হয়ে যায়। বন্যার পরে পানি নেমে গেলে জৌকুরা এলাকায় চর জেগে উঠে ফেরি চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।’
এ বিষয়ে পাবনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এ কে এম শামসুজ্জামান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘নাজিরগঞ্জ-জৌকুরা ফেরি সার্ভিসটি সড়ক ও জনপথ বিভাগ পরিচালনা করে আসছে। তবে নদী খননের সক্ষমতা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নেই। নব্যতা সংকট দেখা দেওয়ার পর থেকে যে কারণে ফেরি সার্ভিসটি বন্ধ আছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানানো হয়েছে।’
Comments