এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: ৮ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র

সিলেটের মুরারিচাঁদ কলেজ ছাত্রাবাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় আট জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আবুল কাশেমের আদালতে এ অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য।

সিলেটের মুরারিচাঁদ কলেজ ছাত্রাবাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় আট জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আবুল কাশেমের আদালতে এ অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য।

সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের দ্য ডেইলি স্টারকে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ সূত্র জানায়, অভিযোগপত্রে সাইফুর রহমানকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেকুল ইসলাম তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল ও মিসবাউল ইসলাম রাজন মিয়াকে ধর্ষণের সঙ্গে সরাসরি জড়িত এবং রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান মাসুমের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহযোগিতা করার অভিযোগ আনা হয়েছে। আট আসামিকেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সূত্র আরও জানায়, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ঢাকায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) বিশেষায়িত ল্যাব থেকে ডিএনএ পরীক্ষা করানো হয়। গত ৩০ নভেম্বর তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিএনএ প্রতিবেদন হাতে পেয়েছেন। জব্দ করা আলামত পরীক্ষায় আসামিদের ডিএনএ প্রোফাইলের সঙ্গে সাদৃশ্যতা পাওয়া গেছে।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেটের বালুচর এলাকার এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন ২৫ বছর বয়সী এক নারী। কলেজের গেট থেকে ধরে ছাত্রাবাসে নিয়ে গিয়ে স্বামীকে বেঁধে রেখে তাকে ধর্ষণ করা হয়। ওই রাতেই ভুক্তভোগী নারীর স্বামী বাদী হয়ে ছয় জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও তিন থেকে চার জনকে আসামি করে নগরীর শাহপরান থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী/২০০৩) এর ৯(৩) এবং দণ্ডবিধির ৩৪২, ৩২৩, ৩৭৯, ৩৮৫ ও ৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করেন। এজাহারভুক্ত ছয় জন ছাড়াও সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে মিসবাউর রহমান রাজন ও আইনুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তারের পর তাদের প্রত্যেককে পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নেওয়া হয়। রিমান্ড শেষে তারা সবাই ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দেন।

সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করে। পাশাপাশি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি হাইকোর্ট বিভাগে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়।

আসামি সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, মাহফুজুর রহমান মাসুম ও রবিউল হাসানের ছাত্রত্ব ও সনদ বাতিল করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এমসি কলেজ থেকেও তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

ছাত্রবাসে সাইফুর রহমানের দখলে থাকা একটি কক্ষে অভিযান চালিয়ে ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে সাইফুরের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা করে। মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

6h ago