ট্রাম্পের ‘নির্বাচনে কারচুপির’র ভিডিও বক্তব্যেও ফেসবুক-টুইটারের সর্তকতা

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি ৪৬ মিনিটের ভিডিওতেও সতর্কতার লেবেল লাগিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও টুইটার।

ওই ভিডিওবার্তায় ট্রাম্প আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ব্যাপক জালিয়াতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন।

ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছেন, আগামী ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবগুলো রাজ্যের নির্বাচনী ফল সার্টিফাই করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শেষ সময়ে নির্বাচনের ফল বাতিল করার সব রকমের আইনি চেষ্টা চালাচ্ছেন ট্রাম্প।

ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বারের বক্তব্যের এক দিন পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ভিডিওবার্তাটি প্রকাশ করেন ট্রাম্প।

গত মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার বলেছিলেন, ‘মার্কিন বিচার বিভাগ ও এফবিআইয়ের অনুসন্ধানে এখনও পর্যন্ত এমন কোনো মাপের জালিয়াতি দেখা যায়নি যা নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দিতে পারে।’

গতকাল বুধবার মার্কিন নির্বাচনে জালিয়াতির দাবি করে ওই ভিডিওতে ট্রাম্প বলেছেন, ‘এটি সম্ভবত আমার দেওয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য। এটা কেবল ৭৪ মিলিয়ন আমেরিকান যারা আমাকে ভোট দিয়েছেন তাদের সম্মান রক্ষার বিষয় নয়। এটা আমেরিকানরা যাতে এই নির্বাচন ও ভবিষ্যতের সব নির্বাচনের প্রতি বিশ্বাস রাখতে পারেন সেটি নিশ্চিতের জন্যই।’

এর আগে উইলিয়াম বারের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্পের প্রচারণা শিবিরের আইনজীবী রুডি জুলিয়ানি ও জেনা এলিস এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, ‘অ্যাটর্নি জেনারেলের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, জালিয়াতির উল্লেখযোগ্য অনিয়ম ও প্রমাণ সম্পর্কে কোনো জ্ঞান বা তদন্ত ছাড়াই তিনি এমন মন্তব্য করেছেন বলে মনে হয়েছে।’

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইলেকটোরাল কলেজের মোট ৩০৬টি ভোট পেয়ে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন ডেমোক্রেট প্রার্থী জো বাইডেন। অন্যদিকে, রিপাবলিকান প্রার্থী ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছেন ২৩২টি ভোট।

বাইডেন এই নির্বাচনে মোট যে সংখ্যক ভোট পেয়েছেন, ২০১৬ সালের নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটনের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ট্রাম্পও সমান ভোট পেয়েছিলেন। সেসময় ট্রাম্প একে ‘বিপুল ব্যবধানে জয়’ বলে উল্লেখ করেছিলেন।