ভাঙা অবস্থায় পাওয়া গেছে মধুদার ভাস্কর্য, রাতেই মেরামত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে অবস্থিত শহীদ মধুসূদন দে’র ভাস্কর্যের একাংশ গতরাতে ভাঙা অবস্থায় পাওয়া গেছে। অবশ্য রাতেই ভাস্কর্যের ভাঙা অংশ মেরামত করা হয়েছে।
গত রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘মধুসূদন দে স্মৃতি ভাস্কর্য’র কান ভেঙে ফেলেছিল দুর্বৃত্তরা। ছবি সৌজন্য: প্রথম আলো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে অবস্থিত শহীদ মধুসূদন দে’র ভাস্কর্যের একাংশ গতরাতে ভাঙা অবস্থায় পাওয়া গেছে। অবশ্য রাতেই ভাস্কর্যের ভাঙা অংশ মেরামত করা হয়েছে।

তবে, কেউ ওই ভাস্কর্যের ওপর হামলা চালিয়েছে কিনা, আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত জানা যায়নি।

মধুসূদন দে ঐতিহাসিক এই ক্যান্টিনের প্রতিষ্ঠাতা ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদ। তিনি মধু দা হিসেবেই সুপরিচিত। তার স্মৃতির স্মরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের সামনে অবস্থিত ক্যান্টিনের নামকরণ করা হয় ‘মধুর ক্যানটিন’।

মধুসূদন দে’র বড় ছেলে ক্যান্টিন পরিচালনাকারী অরুণ কুমার দে বলেন, ‘আমি বুধবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে যখন ফিরি, তখন পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাকই দেখেছি। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে খবর পেয়ে ক্যান্টিনে গিয়ে দেখি বাবার ভাস্কর্যের একটি কান ভাঙা।’

‘আমি উপাচার্য, প্রক্টর, শাহবাগ থানা ও ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে বিষয়টি জানাই। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রক্টরিয়াল টিম পাঠায় এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। মাঝরাতে লোক ডেকে ভাঙা অংশ ঠিক করি,’ বলেন তিনি।

জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর একেএম গোলাম রব্বানী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ভাস্কর্য ভাঙা হয়েছে কিনা তা এখনও জানা যায়নি। এটি উদ্দেশ্যমূলক নাকি অন্য কোনোভাবে হয়েছে, তাও জানা যায়নি। কারা, কী উদ্দেশ্যে এ কাজ করেছে জানতে সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।’

মধুর ক্যান্টিনের সামনে মধুর ভাস্কর্য ১৯৯৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য এমাজউদ্দিন আহমেদ উদ্বোধন করেন। ২০০১ সালে ভাস্কর্যটি বর্তমান অবস্থানে পুনর্নির্মাণ হয়। এর ভাস্কর তৌফিক হোসেন খান।

দেশে ধর্মভিত্তিক সংগঠনগুলো যখন ভাস্কর্য বিরোধী আন্দোলন করছে, এমন সময় শহীদ ‘মধুদা’র ভাস্কর্য ভাঙা অবস্থায় পাওয়া গেল।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

9h ago