‘স্বেচ্ছায় যাচ্ছি, কেউ জোর করেনি’

মাহমুদা খাতুন। ছবি: মোহাম্মদ আল-মাসুম মোল্লা

চট্টগ্রাম থেকে ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে কয়েকজন রোহিঙ্গার সঙ্গে কথা হয় দ্য ডেইলি স্টারের। তারা সংবাদমাধ্যমটিতে জানিয়েছেন যে তারা স্বেচ্ছায় যাচ্ছেন, কেউ তাদের জোর করেনি।

নুরুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেছেন, ‘ভালো পরিবেশের জন্য ভাসানচরে যাচ্ছি। আমার পরিবারের পাঁচ জন এবং আত্মীয় মিলিয়ে ৩০ জন আজ ভাসানচরে যাচ্ছে।’

সিতারা বেগম ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন, তিনি পরিবারের সঙ্গে ভাসানচরে যাচ্ছেন। এবার তার স্বামী যাচ্ছেন না। কক্সবাজারে ক্যাম্পে থাকছেন তার স্বামী।

মাহমুদা খাতুন ছেলেসহ পরিবারের নয় সদস্য নিয়ে ভাসানচরে যাচ্ছেন। ২০১৭ সালে মিয়ানমার থেকে এসে বাংলাদেশের কক্সবাজারে আশ্রয় নিয়েছিলেন উল্লেখ তিনি ডেইলি স্টারকে বলেছেন, ‘শান্তির জন্য ভাসানচরে যাচ্ছি।’

‘ক্যাম্পে পালিথিনের মধ্যে থাকতে হয়। খুব কষ্ট। গরম লাগে। ঠিকমতো গোসল করতে পারি না। চারদিকে মানুষ আর মানুষ। ‘ভাসান চরে বিল্ডিং আছে। সব ব্যবস্থা আছে। শান্তি পাব,’ যোগ করেন তিনি।

ক্যাম্পে কি অশান্তি ছিল?— মাহমুদা বলেন, ‘হুম, অশান্তি ছিল। মারামারি ছিল প্রচুর। তাই নিজের ইচ্ছায় সেখানে যাচ্ছি।’

এছাড়াও, অনেকে বলেছেন, কক্সবাজারের ক্যাম্পে গাদাগাদি করে থাকতে হয়, সেখানে ক্যাম্পে চলাফেরা করা, থাকা-খাওয়া কষ্ট। তাই তারা ভাসানচরে যাওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

আবার কেউ কেউ বলেছেন, ক্যাম্পের পরিবেশ নিরাপদ নয়, ভাসানচরের ছবি, ভিডিও দেখে রোহিঙ্গাদের অনেকের মনে হয়েছে সেখানে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা পাবেন তারা।

নিরাপত্তা একটা বড় কারণ বলে তারা মনে করছেন। মাহমুদা খাতুনের মতো অনেকে জানিয়েছেন, ক্যাম্পে নিজেদের মধ্যে মারামারি, কাজের সুযোগ নেই, পড়ালেখার সুযোগ নেই। ভাসানচরে গেলে তারা এই সব সুবিধা পাবেন। তাই তারা যাচ্ছেন।

বারবার জিজ্ঞাসা করা হলেও তাদের কেউই চাপের কথা স্বীকার করেননি।

Comments

The Daily Star  | English

Govt looking to defuse trade tensions with India

Bangladesh does not want any further escalation in tension with India as the recent retaliatory moves are affecting bilateral trade and both countries’ businesses.

2h ago