হঠাৎ ওপেনিংয়ে নাঈম হাসান, দ্যুতি ছড়ালেন ইয়াসির-আকবর

পরিচয়টা বোলার হিসেবেই। তবে প্রয়োজনে ব্যাট চালাতে পারেন নাঈম হাসান। সেক্ষেত্রে দেখেশুনে ব্যাট করে সতীর্থকে স্ট্রাইক দিতেই পছন্দ করেন তিনি। ঢাকা লিগ কিংবা অন্য কোনো ক্ষেত্রে ক্যামিও ইনিংস খেলার উদাহরণও নেই তার। কিন্তু এক রাশ বিস্ময় ছড়িয়ে সেই নাঈমই এদিন হঠাৎ ওপেনার বনে গেলেন। মিরপুর শেরে বাংলায় এদিন তাই ইয়াসির আলী ও আকবর আলীর ঝড়ের চেয়েও বেশি আলোচনায় ছিল এ বিষয়টি।
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

পরিচয়টা বোলার হিসেবেই। তবে প্রয়োজনে ব্যাট চালাতে পারেন নাঈম হাসান। সেক্ষেত্রে দেখেশুনে ব্যাট করে সতীর্থকে স্ট্রাইক দিতেই পছন্দ করেন তিনি। ঢাকা লিগ কিংবা অন্য কোনো ক্ষেত্রে ক্যামিও ইনিংস খেলার উদাহরণও নেই তার। কিন্তু এক রাশ বিস্ময় ছড়িয়ে সেই নাঈমই এদিন হঠাৎ ওপেনার বনে গেলেন। মিরপুর শেরে বাংলায় এদিন তাই ইয়াসির আলী ও আকবর আলীর ঝড়ের চেয়েও বেশি আলোচনায় ছিল এ বিষয়টি।

আর স্বাভাবিকভাবেই কোনো অঘটনের জন্ম দিতে পারেননি নাঈম। সাজঘরে ফিরেছেন মাত্র ১ রান করে। আরও একবার সেট হয়েও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। তবে চতুর্থ উইকেটে ইয়াসির আলী ও আকবর আলী দ্যুতি ছড়িয়েছেন। তাদের জুটিতে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৭৫ রানের লড়াকু সংগ্রহ পেয়েছে বেক্সিমকো ঢাকা।

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবার টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে ঢাকা। শুরুতেই নাঈমকে হারায় দলটি। দ্বিতীয় উইকেটে আরেক ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখকে নিয়ে ৩৯ রানের জুটিতে শুরুর ধাক্কা সামলে নেন মুশফিক। কিন্তু এ জুটি ভাঙতে দ্রুত আরও একটি উইকেট হারায় তারা। এরপর বেশিক্ষণ আগাতে পারেননি মুশফিকও। সম্ভাবনা জাগিয়ে আরও একবার উইকেট বিলিয়ে এসেছেন তিনি। ২৯ বলে ৩৭ রান করার পর মুকিদুল ইসলামের বলে জায়গায় দাঁড়িয়ে খোঁচা দিতে গিয়ে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন অধিনায়ক।

তবে ঢাকাকে লড়াইয়ের সংগ্রহ এনে দেন পঞ্চম উইকেট জুটিতে ইয়াসির ও আকবর। অসাধারণ ব্যাটিং করে দলের ইনিংস মেরামত করেছেন এ দুই ব্যাটসম্যান। দুইজনই ব্যাট করেছেন আগ্রাসী ঢঙে। তবে শুরুতে বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন ইয়াসির। তুলে নিয়েছেন নিজের হাফসেঞ্চুরিও। শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে আকবরের সঙ্গে গড়েন ৯৬ রানের জুটি।

৩৯ বলে ৬৭ রানের ইনিংস খেলেন ইয়াসির। নিজের ইনিংসটি সাজাতে ৯টি চার ও ১টি ছক্কা মেরেছেন তিনি। শেষ দিকে আক্রমণের ধার বাড়িয়ে দেন আকবরও। হাফসেঞ্চুরি পেতে পেতেও পাননি। শেষ পর্যন্ত ২৩ বলে ৪৫ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন আকবর। ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান এ তরুণ।

মিনিস্টার রাজশাহীর পক্ষে ৩৮ রানের খরচায় ২টি উইকেট নিয়েছেন মুগ্ধ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বেক্সিমকো ঢাকা: ২০ ওভারে ১৭৫/৫ (নাঈম হাসান ১, নাঈম শেখ ৯, মুশফিক ৩৭, তানজিদ ২, ইয়াসির ৬৭, আকবর ৪৫*, মুক্তার ৩*; মেহেদী ১/২৩, ইবাদত ০/৩৪, সানি ১/২৬, রেজা ০/৩৯, মুকিদুল ২/৩৮, ইমন ০/১৫)।

Comments

The Daily Star  | English

People want a party helmed by the youth

Forming an alternative political force and ensuring transparency in government work were the two issues that figured most prominently in the district-level views-exchange meetings organised by the Anti-Discrimination Students Movement.

13h ago