কক্সবাজারে বন কর্মকর্তা-কর্মচারীর ওপর হামলা, ২৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার হারবাং বনবিটের দখলে নেওয়া সংরক্ষিত বনভূমি উদ্ধার এবং অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে গিয়ে গত ২ ডিসেম্বর হামলার শিকার হয়েছিলেন ৯ বন কর্মকর্তা-কর্মচারী। এ ঘটনায় চকরিয়া থানায় ২৫০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেছে বনবিভাগ।
গতকাল বৃহস্পতিবার হারবাং অভয়ারণ্যের বনবিট কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ওসি শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বলেন, ‘সরকারি কাজে বাঁধা সৃষ্টি ও বন কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় গতকাল হারবাং বনবিট কর্মকর্তা বাদী হয়ে থানায় একটি এজাহার দেন। পরে সেটি মামলা হিসেবে রুজু হয়। এজাহারে ১০ জনের নাম উল্লেখসহ ২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।’
‘মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির এসআই (উপ-পরিদর্শক) মানিক কুমারকে। পাশাপাশি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান জোরদার করা হয়েছে,’ বলেন তিনি।
মামলার বাদী বনবিট কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ সংবাদকর্মীদের বলেন, ‘সরকারি বনভূমি দখলকারীরা বনকর্মকর্তা-কর্মচারীদের চারপাশে ঘেরাও করে হামলা করে। হামলায় ২৫০ জনের বেশি মানুষ অংশ নিয়েছিল।’
গত বুধবার দুপুর একটার দিকে চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য রেঞ্জের আওতাধীন চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের ভিলেজার পাড়ায় জোর করে দখলে নেওয়া সংরক্ষিত বনভূমি উদ্ধার এবং অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে গিয়ে অমানবিক পিটুনির শিকার হন ওই ৯ বন কর্মকর্তা-কর্মচারী। এসময় প্রায় আড়াইশ মানুষ বনকর্মীদের চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলে এবং মারধর করে।
এ খবর জানতে পেরে চকরিয়া থানা ও হারবাং ফাঁড়ির পুলিশদল বিকেল তিনটার দিকে ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় আজিজনগর বনবিট কর্মকর্তা মো. আজহার আলী, হারবাং বনবিট কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ, বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ কর্মী কামরুল আলম, মো. ইউসুফ ও মানিক চন্দ্র দে, বনপ্রহরী নীলিমেষ বৈরাগী ও শওকত উল্লাহ চৌধুরী, সিপিজি সদস্য করিম দাদ ও শফি আলমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
Comments