কৃষকদের অনমনীয়তার মুখে নমনীয় মোদি সরকার

ভারতে বিতর্কিত কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে আগামী ৮ ডিসেম্বর ভারত জুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন দিল্লিতে আন্দোলনরত কৃষকরা। টানা নবম দিনের মতো দিল্লির সঙ্গে হরিয়ানা, পাঞ্জাবসহ অন্য রাজ্যগুলোর সংযোগপথ অবরুদ্ধ করে রেখেছেন তারা। প্রবল আন্দোলনের মুখে এখন নমনীয় হতে শুরু করেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার।
ভারতের নয়াদিল্লিতে কৃষক আন্দোলন। ছবি: এনডিটিভি

ভারতে বিতর্কিত কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে আগামী ৮ ডিসেম্বর ভারত জুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন দিল্লিতে আন্দোলনরত কৃষকরা। টানা নবম দিনের মতো দিল্লির সঙ্গে হরিয়ানা, পাঞ্জাবসহ অন্য রাজ্যগুলোর সংযোগপথ অবরুদ্ধ করে রেখেছেন তারা। প্রবল আন্দোলনের মুখে এখন নমনীয় হতে শুরু করেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার।

এনডিটিভি জানায়,  আজ শনিবার বিকেলে পঞ্চমবারের মতো কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন আন্দোলনকারীরা। বৈঠকে সরকার কিছুটা নমনীয় হওয়ারও ইঙ্গিত দিয়েছে।

এদিকে, বৈঠক শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসায় গিয়েছেন বলে জানা গেছে। সূত্রের বরাতে এনডিটিভি জানায়, কৃষকদের দাবি মেনে আইনে সংশোধন আনা যায় কিনা এ নিয়ে মোদির বাড়িতে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

গত বৃহস্পতিবার টানা সাত ঘণ্টার ওই বৈঠকে কৃষকরা সরকারের কাছে বেশ কিছু দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন। সেগুলোর মধ্যে ছিল- এপিএমসি ব্যবস্থার বাইরে শস্য বিক্রির অনুমতি, চুক্তিভিত্তিক কাজ, মজুত সীমা বাতিল প্রভৃতি। আন্দোলনকারীদের আশঙ্কা নতুন আইন বাস্তবায়ন হলে বড় কোম্পানিগুলোর কাছে তারা জিম্মি হয়ে পড়বে।

সরকারের সঙ্গে কৃষকদের বিরোধের অন্যতম ইস্যুগুলোর মধ্যে রয়েছে, নতুন আইনে কৃষি সংক্রান্ত মামলাগুলোতে সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট (এসডিএম) কোর্টকে সর্বোচ্চ বিচারালয় হিসেবে উল্লেখ করা। কৃষকদের দাবি, তারা যেন অভিযোগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত যেতে পারেন।

বৈঠকের পর ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এপিএমসি ও বেসরকারি বাজারগুলোতে সমান কর, বেসরকারি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন, কৃষকদের সর্বোচ্চ আদালত পর্যন্ত যাওয়াসহ বেশি কিছু বিষয় পুনর্বিবেচনা করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দেয়।

শনিবারের আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র তোমার ও বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়ালসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, পঞ্চম দফায়ও বৈঠক সফল না হলে মোদি সরকারের সামনে আরও বড় সংকট তৈরির আশঙ্কা আছে।

শুক্রবার রাতে দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্তে আরও ৪০টি কৃষক ইউনিয়ন একত্রিত হয়েছে। দাবি পূরণ না হলে দিল্লির সব প্রবেশদ্বার বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

এই আন্দোলনে অংশ নিয়ে এ পর্যন্ত অন্তত তিন জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। মৃত দুই কৃষকের পরিবারকে তাৎক্ষণিক পাঁচ লাখ রুপি সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে পাঞ্জাব সরকার।

 

আরও পড়ুন:

Comments

The Daily Star  | English

Age limit for govt job entry: 35yrs for men, 37 for women

A government committee has recommended raising the maximum age for applying for public service jobs to 35 years for men and 37 years for women.

10h ago