ফরিদপুরে সেফহোম থেকে পালিয়ে গেল ৭ তরুণী
ফরিদপুরের জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর পরিচালিত সেফহোম থেকে গত শুক্রবার দিবাগত রাত চারটার দিকে পালিয়েছেন সাত তরুণী। তাদের মধ্যে আজ শনিবার সকালে এক তরুণীকে আটক করেছে পুলিশ।
ওই সাত তরুণী হলেন- রাজবাড়ী জেলার সোনালী আক্তার সাথী (২১), মেঘলা (১৪), আলিশা আক্তার (২০), মাদারীপুরের লাকী আক্তার সুরমা (২০), শরীয়তপুরের আছিয়া (১৭) এবং গোপালগঞ্জের তামান্না আক্তার (১৬) ও ময়না (১৮)।
এ ঘটনা তদন্তে জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেছে এবং সেফহোমের ১৪ কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে সমাজসেবা অধিদপ্তর পরিচালিত ‘মহিলা ও শিশু-কিশোরী হেফাজতিদের নিরাপদ আবাসন কেন্দ্র’ সেফহোম হিসেবে পরিচিত। ফরিদপুর শহরের টেপাখোলা মহল্লার এলাকার ওই সেফহোমে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মোট ৭২ জন নিবাসী ছিলেন।
সেফহোমের উপতত্ত্বাবধায়ক রুমানা আক্তার জানান, নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত দুই আনসার সদস্য ঘুমিয়ে থাকায় পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে ফরিদপুর কোতোয়ালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া নিবাসীদের সন্ধানে পুলিশের পাশাপাশি সেফহোম কর্তৃপক্ষও কাজ করছে।
তিনি জানান, সাত তরুণী ভবঘুরে হিসেবে জেলা ও উপজেলা পুলিশের হাতে আটক হয়ে আদালতের মাধ্যমে সেফহোমে ছিলেন। তাদের মধ্যে আলিশা আছেন ২০১৫ সাল থেকে। দুই জন এসেছেন চলতি বছর। বাকিরা তিন-চার বছর ধরে আছেন। আইনগত অভিভাবক না পাওয়ায় সেফহোমেই তাদের রাখা হচ্ছিল।
পালিয়ে যাওয়া সাত জনের মধ্যে আজ ফরিদপুর সদর থেকে পুলিশ একজনকে উদ্ধার করতে পেরেছে বলে জানান তিনি।
জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আলী আহসান জানান, নিবাসীদের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় সেফহোমের ১০ কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং তিন আনসার সদস্যসহ মোট ১৪ জনকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি এ ঘটনাটি তদন্ত করে দেখার জন্য সহকারী উপপরিচালক আবু সাইদুর রহমানকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান তিনি। আগামী তিন দিনের মধ্যে এই কমিটিকে ঘটনার বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
Comments