কৃষক বিদ্রোহ: অনড় অবস্থান, ভারতজুড়ে ধর্মঘটের প্রস্তুতি

ভারতে বিতর্কিত কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে টানা ১১ দিনের মতো দিল্লির সঙ্গে হরিয়ানা, পাঞ্জাবসহ অন্য রাজ্যগুলোর সংযোগপথ অবরুদ্ধ করে রেখেছেন আন্দোলনকারী কৃষকরা।
ভারতের বিতর্কিত কৃষি বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে কৃষকরা। ৫ ডিসেম্বর ২০২০। ছবি: রয়টার্স

ভারতে বিতর্কিত কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে টানা ১১ দিনের মতো দিল্লির সঙ্গে হরিয়ানা, পাঞ্জাবসহ অন্য রাজ্যগুলোর সংযোগপথ অবরুদ্ধ করে রেখেছেন আন্দোলনকারী কৃষকরা।

আজ রোববার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, আন্দোলনরত কৃষকরা আগামী মঙ্গলবার ভারতজুড়ে ধর্মঘট পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

এদিকে, কৃষকদের আন্দোলনে সমর্থন জানিয়েছেন আম আদমি পার্টির আহ্বায়ক ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

তিনি বলেছেন, ‘আমাদের কৃষিনির্ভর দেশ। আমি জনগণকেও তাদের প্রতি সমর্থন জানাতে অনুরোধ করবো।’

গতকাল শনিবার বিকেলে আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে পঞ্চম দফা বৈঠকে নতুন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে কৃষকেরা অনড় থাকলেও আইনটি সংশোধনের জন্য লিখিত প্রস্তাব দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

গতকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসভবনে উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকের পর বিক্ষোভরত কৃষক প্রতিনিধিদের সঙ্গে পঞ্চমবারের মতো বৈঠকে বসেছিল সরকারের এক প্রতিনিধি দল। চার ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বৈঠক চললেও বৈঠকের পর কৃষক প্রতিনিধিরা সেখানে সংক্ষিপ্ত নীরব প্রতিবাদ ও কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনায় অগ্রগতি না হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন।

সে সময় টানা দ্বিতীয় দিনের মতো কৃষক নেতারা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের মধ্যাহ্নভোজের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। দিল্লির বিজ্ঞান ভবনের মেঝেতে বসে তারা নিজেদের আনা খাবার খেয়েছিলেন।

এছাড়াও, কৃষক প্রতিনিধিদের সঙ্গে আগামী বুধবার ষষ্ঠবারের মতো বৈঠকে বসতে একমত হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘সরকারের প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনার পর আগামী বৈঠকে কৃষকদের সামনে নতুন প্রস্তাব তুলে ধরা হবে।’

এছাড়াও, করোনা মহামারি ও তীব্র শীতের কথা উল্লেখ করে আন্দোলনরত বৃদ্ধ ও শিশুদের বাড়ি ফেরার আহ্বান জানিয়েছিলেন কৃষিমন্ত্রী।

তিনি বলেছেন, ‘আজ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা একটি সুষ্ঠু সমাধান চেয়েছিলাম। কিন্তু, আজকের আলোচনায় তা হয়নি। আগামী ৯ ডিসেম্বর আরও একটি বৈঠক হবে। আমরা কৃষকদের জানিয়েছি যে, সরকার সব বিষয়ে আলোচনা করবে। আমরা একটি সমাধানে পৌঁছাতে চেষ্টা করবো।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘কৃষক নেতাদের কাছ থেকে কিছু সমাধান পেলে এটি আরও সহজ হতো। আমরা সেটির জন্য অপেক্ষা করবো।’

এই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে এ পর্যন্ত অন্তত তিন জনের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে। মৃত দুই কৃষকের পরিবারকে তাৎক্ষণিক পাঁচ লাখ রুপি সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে পাঞ্জাব সরকার।

Comments

The Daily Star  | English

‘Humanity must prevail’

Says UN as Israeli offensive in Gaza enters 12th month; Israeli attacks kill 61 in Gaza in 48 hours

18m ago