মুশফিকের ঝলকের পর আচমকা ধসে চট্টগ্রামের প্রথম হার

টুর্নামেন্টের পঞ্চম ম্যাচে এসে তাই প্রথম হারের স্বাদ পেল চট্টগ্রাম। প্রথম তিন ম্যাচ হারা ঢাকা জিতল টানা তৃতীয় ম্যাচ।
Mushfiqur Rahim
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

চরম বিপর্যস্ত দলকে দারুণ ইনিংস খেলে লড়াইয়ে রাখলেন মুশফিকুর রহিম। ছন্দে থাকা লিটন দাসের ব্যাটে সেই রান অনায়াসে পেরিয়ে যাওয়ার অবস্থায় ছিল চট্টগ্রাম। কিন্তু হাল না ছেড়ে চাপ তৈরি জারি রাখছিল ঢাকা। লিটনকে থামিয়ে দেওয়ার পর ম্যাচে ফিরে দারুণ এক জয়ও তুলে নিয়েছে তারা।

মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বেক্সিমকো ঢাকার ১৪৫ রান পেরুতে গিয়ে  ১৩৮   রানে থেমেছে চট্টগ্রাম।   টুর্নামেন্টের পঞ্চম ম্যাচে এসে প্রথম হারের স্বাদ পেল চট্টগ্রাম। প্রথম তিন ম্যাচ হারা ঢাকা জিতল টানা তৃতীয় ম্যাচ।

প্রথমেই সিদ্ধান্তের ভুলে পুড়ল চট্টগ্রাম। রুবেল হোসেনের প্রথম ওভারেই আড়াআড়ি খেলতে গিয়ে বল ব্যাটে পেলেন না সৌম্য সরকার। এলবিডব্লিউর জোরালো আবেদনে সাড়া দিলেন আম্পায়ার। সৌম্যকে রিভিউ নিতে মানা করলেন লিটন। রিপ্লে দেখে মনে হলো পিচড আউট সাইড লেগ হওয়ায় রিভিউ নিলে বেঁচে যেতেন সৌম্য।

টুর্নামেন্টে প্রথমবার সুযোগ পাওয়া মাহমুদুল হাসান জয় লিটনের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে যোগ করেন ৪৭ রান। দারুণ এক কাভার ড্রাইভ, আর ইনসাইড আউটে ছক্কা দেখা যায় তার ব্যাটে। অফ স্পিনার রবিউল ইসলামের বলে স্লগ সুইপ খেলতে গিয়ে ২৪ বলে ২৬ রানে শেষ হয় তার ইনিংস।

লিটন শুরুতে এদিন ছিলেন না খুব আগ্রাসী মেজাজে। তবে সুযোগ পেলেই বের করছিলেন বাউন্ডারি। ম্যাচের পরিস্থিতি পড়ে টিকে থাকার প্রয়াস। চারে নামা অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনের সঙ্গে মিলে দলকে তীরে নিয়ে যাওয়ার দিকে চলেন তিনি। তাদের জুটিতে ক্রমশ ম্যাচ নিজেদের মুঠোয় নেয় চট্টগ্রাম। অবশ্য এদিন খেলা শেষ করে আসা হয়নি লিটনের।

রবিউলের বলে স্কুপ করতে গিয়ে ৩৯ বলে ৪৭ রান করে ক্যাচ দেন লিটন। ডানদিকে ঝাঁপিয়ে দারুণ ক্ষিপ্রতায় সেই ক্যাচ হাতে জমান শফিকুল। ভেঙ্গে যায় তৃতীয় উইকেটে পাওয়া ৪৮ রানের জুটি। এরপর মিঠুন ফিরে গেলে হুট করে চাপে পড়ে যায় তারা। লিটনের দারুণ ক্যাচ নেওয়ার পর মিঠুনকেও ফেরান তিনি। তার বলে ছক্কা পেটাতে গিয়ে থামেন ২০ বলে ২১ করা চট্টগ্রাম অধিনায়ক।

শেষ ৪ ওভারে দরকার দাঁড়ায় ৪০ রান। দুই ব্যাটসম্যান শামসুর রহমান আর মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত বেশ ভুগছিলেন।  দ্রুত রান বের করতে না পারায় বাড়ছিল চাপ। ৮ বল খেলে ১০ রান করে মিড উইকেটে ধরা দেন শামসুর। একটা সময় অনায়াসে জেতার অবস্থায় থাকা চট্টগ্রামের সম্ভাবনা হতে থাকে ফিকে। মোসাদ্দেক, নাহিদুলরা কেউ হতে পারেননি শেষের নায়ক। শেষ দুই ওভারে গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নিয়ে বরং আলো কেড়েছেন রুবেল-মুক্তার।

এর আগে ২৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চরম বিপদে পড়া ঢাকার ইনিংসে ত্রাতা ছিলেন অধিনায়ক মুশফিক। ইয়াসির আলি রাব্বিকে নিয়ে ৮৬ রানের জুটিতে দলকে ম্যাচে ফেরান তিনি। শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে খেলেন ৫০ বলে হার না মানা ৭৩ রানের ইনিংস। ১৪৫ রানের ওই পূঁজি নিয়েই ৭ রানের জয় বের করে নিল ঢাকা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

বেক্সিমকো ঢাকা: ২০ ওভারে ১৪৫/৪   ( নাঈম ১৩,  সাব্বির ৭ , তানজিদ ০  , মুশফিক ৭৩*, ইয়াসির ৩৪, আকবর ১০*   ; নাহিদুল ১/১৬, শরিফুল ১/৪৮, রাকিবুল ১/২৪,  মোস্তাফিজ ১/১৯, মোসাদ্দেক ০/৮, সৌম্য ০/২৮)

গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম:  ২০ ওভারে ১৩৮/৯  (লিটন ৪৭,  সৌম্য ০,  জয় ২৪ , মিঠুন ২১,মোসাদ্দেক ১৩,  শামসুর ১০, জিয়া ১, নাহিদুল ৯, রাকিবুল ১*   , মোস্তাফিজ ৭, শরিফুল  ০*; রুবেল ২/২৪, নাসুম ০/২৫, শফিকুল ১/২৫,  রবিউল ২/২৩, মুক্তার  ৩/৩৯)

ফল: বেক্সিমকো ঢাকা  ৭  রানে জয়ী।

 

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

7h ago