পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ইউজিসির বৈঠক ১৩ ডিসেম্বর
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে আগামী ১৩ ডিসেম্বর বৈঠকে বসে চূড়ান্ত বর্ষের শিক্ষার্থীদের সেমিস্টার পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)।
কারণ, কিছু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সেশনজট এড়াতে এবং আসন্ন বিসিএস পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের যোগ্যতা নিশ্চিত করতে চায়।
আজ রোববার সন্ধ্যায় কমিশনের মাসিক বৈঠক শেষে ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহিদুল্লাহ এসব তথ্য জানান।
তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে আমরা ১৩ ডিসেম্বর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসব।’
শিক্ষার্থীরা বিশেষ করে অনার্স চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষার দাবিতে বিক্ষোভ করছে এবং তাদের কেউ কেউ একই দাবিতে কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে।
পরীক্ষা গ্রহণের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ইউজিসির সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছে। এর আগে, গত জুনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অনলাইন ক্লাস, পরীক্ষা নিতে বলেছিল ইউজিসি এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ব্যবহারিক পরীক্ষার নেওয়ার কথা জানিয়েছিল সংস্থাটি।
ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর ও কাজী শহিদুল্লাহ দুজনেই বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের নিজ নিজ একাডেমিক কাউন্সিল, ডিন কমিটি এবং অন্যান্যদের সঙ্গে পরামর্শ করে পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
আলমগীর বলেন, ‘কিছু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় অনার্স ফাইনাল ইয়ার এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পরীক্ষার সিদ্ধান্তের বিষয়ে চিঠি পাঠিয়েছিল অথবা ইউজিসির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার দাবিতে বিক্ষোভ করছে।’
করোনা মহামারির কারণে সরকার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণায় গত ১৭ মার্চ থেকে সরাসরি ক্লাস নেওয়া বন্ধ আছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনলাইনে ক্লাস নিচ্ছে। পরবর্তীতে এ ছুটি আরও এক ধাপ বাড়িয়ে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়।
ইউজিসির এক সদস্য জানান, গত ১ ডিসেম্বর ইউজিসির সঙ্গে বৈঠকে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়টি উত্থাপন করেন।
ভিসিরা বলেছিলেন, অনেক শিক্ষার্থী অনার্স ফাইনাল ইয়ার এবং স্নাতকোত্তর স্তরের মাঝামাঝিতে আছে। তাদের অনেকের তাত্ত্বিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে এবং শুধুমাত্র ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রয়োজন।
ইউজিসির ওই সদস্য বলেন, ‘উপাচার্যরা জানান, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অনার্সের চূড়ান্ত সেমিস্টারের পরীক্ষা গ্রহণের অনুমতি প্রয়োজন। তাহলে শিক্ষার্থীরা আসন্ন বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে।’
নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে পিএসসি বিভিন্ন ক্যাডার পদে ১,৮১৪ জন নিয়োগের জন্য ৪৩তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। ৪৩তম বিসিএসের আবেদনের প্রক্রিয়া ৩১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে এবং ৩০ জানুয়ারি শেষ হবে।
Comments