পদ্মা সেতুর কাজ আগামী ১ বছরের মধ্যে শেষ হবে: কাদের
![](https://tds-images-bn.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/qader_bss.jpg?itok=35MYcRw5×tamp=1607251177)
দেশের মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতুর অবকাঠামো পুরোপুরি দৃশ্যমান হতে আর মাত্র একটি স্প্যান বাকি থাকলেও যান চলাচলের উপযোগী হতে আরও এক বছর সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি বলেন, ‘আগামী ১০ মাস থেকে এক বছরের মধ্যে পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হবে।’
পদ্মা সেতুর সর্বশেষ স্প্যানটি আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে বসবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সেতুতে ঢালাইয়ের কাজ, সড়কের জন্য প্রস্তুত করা, রেলের জন্য প্রস্তুত করার কাজ বাকি আছে। এটা ডাবল ডেকার সেতু। এখানে রেলও চলবে, সড়কের যানবাহনও চলবে। কাজে ওটাকে সেভাবেই তো তৈরি করতে হবে।’
সেতুতে কবে নাগাদ যান চলাচল করতে পারে? জানতে চাইলে কাদের বলেন, ‘কাজ শেষ হলে এরপর তো চালুই হয়ে যাবে। ১০ তারিখ যখন সব স্প্যান বসে যাবে তখন যে কাজ থাকবে তখন সেটা আমি ইঞ্জিনিয়ার, কনসালটেন্টদের সঙ্গে আলাপ করে দেখেছি সেতু বিভাগে। তারা বলেছে ১০ মাস থেকে এক বছরের মধ্যেই বাকি কাজ শেষ হবে। তারপরই উন্মুক্ত হয়ে যাবে।’
গত ৪ ডিসেম্বর পদ্মা সেতুতে সর্বশেষ ৪০তম স্প্যানটি বসানো হয়। যদিও স্প্যান বাসানো ছাড়াও সেতুর অন্যান্য কাজও এগিয়ে চলছে।
সেতু বিভাগের তথ্য মতে, সেতুর সার্বিক অগ্রগতি সাড়ে ৮২ ভাগ, মূল সেতুর কাজের বাস্তবায়নের অগ্রগতি ৯১ ভাগ, আর্থিক অগ্রগতি ৮৮.৩৮ ভাগ এবং সংযোগসড়ক ও সার্ভিস এরিয়ার বাস্তবায়ন শত ভাগ এগিয়েছে।
দেশের সবচেয়ে বড় ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুর স্প্যানের ওপরে যানবাহন চলবে। আর নিচে চলবে ট্রেন। স্প্যানের ওপরে সড়ক পথের জন্য ২ হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্ল্যাব আর রেল চলার জন্য ২ হাজার ৯৫৯ রেলওয়ে স্ন্যাব বসবে। পুরোদমে চলছে এসব বসানোর কাজ। আর রেলওয়ে স্ল্যাবের সঙ্গে ১ হাজার ৩১২টি লোহার গার্ডার বসছে।
দেশের নিজস্ব অর্থায়নে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। ২২ মিটার প্রস্থ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে সেতুর কাঠামো।
Comments