ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪ জন কারাগারে, রিমান্ড শুনানি আগামীকাল

Kushtia.png
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় ইবনে মাসউদ মাদ্রাসার ছাত্র আবু বকর মিঠুন ও সবুজ ইসলাম নাহিদ এবং শিক্ষক আলামিন হোসেন ও ইউসুফ আলীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ছবি: স্টার

কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেপ্তার চার জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

এরা হলেন- ইবনে মাসউদ মাদ্রাসার ছাত্র আবু বকর মিঠুন (১৪) ও সবুজ ইসলাম নাহিদ (১৪) এবং শিক্ষক আলামিন হোসেন (৩৩) ও ইউসুফ আলী (৩৭)।

আজ সোমবার বিকালে তাদেরকে কুষ্টিয়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাওয়া হয়। পরে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল ইসলাম তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, দুপুরে আসামিদের আদালতে তোলা হয়। এদের মধ্যে মিঠুন ও নাহিদকে ১০ দিনের এবং আলামিন ও ইউসুফকে চার দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়।

আদালত আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়ে আগামীকাল মঙ্গলবার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেছেন।

গত শুক্রবার রাতে কুষ্টিয়া পৌরসভার পাঁচ রাস্তার মোড়ে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের ডান হাত, পুরো মুখ ও বাম হাতের অংশবিশেষ ভেঙে ফেলা হয়। পুলিশ অপরাধীদের সনাক্ত করে শনিবার রাতে গ্রেপ্তার করে। এরা সবাই কুষ্টিয়ার জুগিয়া এলাকার কওমি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইবনে মাসউদ মাদ্রাসার ছাত্র ও শিক্ষক। ছাত্র দুজন সরাসরি ভাস্কর্য ভাঙার কাজে অংশ নেয়।

জিজ্ঞাসাবাদে ওই দুই ছাত্র জানায় যে, তারা মামুনুল হক ও ফয়জুল হকের ভাস্কর্যবিরোধী বক্তব্য শুনে উদ্বুদ্ধ হয়ে এ কাজ করেছে। তারা দুজনেই এই পরিকল্পনা  সাজায় বলে জানায়।

তবে পুলিশ বলছে, এরা নিজেরা পরিকল্পনা করে এ কাজ করেছে বলে মনে হয় না।

‘আমরা আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রকৃত তথ্য বের করতে চাই, এর পেছনে আর কারা জড়িত রয়েছে’, বলেন পুলিশ কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান।

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় কুষ্টিয়া শহরে প্রতিবাদ-সমাবেশ অব্যাহত রয়েছে। আজও বিভিন্ন সংগঠন ঘটনাস্থলে সমাবেশ করেছে।

Comments

The Daily Star  | English

Ex-CEC Nurul Huda gives confessional statement in poll irregularities case

Statement being recorded before magistrate in case over alleged bias in past elections

21m ago