নিখোঁজের ৫ দিন পর শিশুর মরদেহ উদ্ধার, পরিবারের দাবি পরিকল্পিত হত্যা
পটুয়াখালী সদর উপজেলার টাউন জৈনকাঠী গ্রামে নিখোঁজের ৫ দিন পর সাত বছরের শিশুর মো. ফাহাত ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ফাহাতকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তার বাবা জাফর হাওলাদার।
এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু হয়েছে বলে দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন পটুয়াখালী থানার ওসি আকতার মোর্শেদ।
আকতার মোর্শেদ জানান, ফাহাতের মৃত্যুর ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে এবং ময়না তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওই এলাকার চারজনকে থানায় এনে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার বিকেলে বাড়ির পাশের ডোবা থেকে পুলিশ মো. ফাহাত ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করে। নিহতের বাবার নাম মো. জাফর হাওলাদার। ফাহাত গত ৩ ডিসেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিল। সে টাউন জৈনকাঠী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
ফাহাতের বাবা জাফর হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার তিন সন্তানের মধ্যে একমাত্র ছেলে ফাহাত ছিল সবার ছোট। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। জমি-জমা নিয়ে প্রতিবেশীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ ছিল। ওই বিরোধের জেরে আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। আমি এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।’
পটুয়াখালী সদর থানার এসআই মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘খেলার কথা বলে ফাহাত ৩ ডিসেম্বর বিকেল ৪টার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। পরদিন বাবা জাফর হাওলাদার পটুয়াখালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন, যার নম্বর ১৮৪। ৮ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে বাড়ির পাশের ডোবায় ফাহাতের ভাসমান মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ সেখান থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। আজ বুধবার দুপুরে মরদেহের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়।’
Comments