পদ্মা সেতুতে শেষ স্প্যান বসানোর কাজ চলছে

পদ্মা সেতুর সর্বশেষ অর্থাৎ ৪১তম স্প্যান বসানোর কাজ চলছে। এটি বসানো হলেই দৃশ্যমান হবে ছয় হাজার ১৫০ মিটারের পুরো সেতু। সংযোগ হবে মাওয়া ও জাজিরা প্রান্ত। ৪০তম স্প্যান বসানোর ছয়দিনের মাথায় এ স্প্যানটি বসানো হচ্ছে।

বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন সেতু বিভাগের সচিব বেলায়েত হোসেন। তিনি জানান, আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৪০ মিনিট থেকে সেতুর শেষ স্প্যানটি বসানোর কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

পদ্মা সেতুর সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের বরাত দিয়ে আমাদের মুন্সিগঞ্জ সংবাদদাতা জানিয়েছেন, মূল নদীতে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে অবস্থিত ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হচ্ছে ৪১তম স্প্যান ‘টু-এফ’।

কাজের গতি এগিয়ে রাখতে গতকালই ভাসমান ক্রেনের মাধ্যমে স্প্যানটিকে বহন করে নির্ধারিত পিলারের কাছে নিয়ে রাখা হয়। গতকাল বিকেল ৫টা ৫ মিনিটের দিকে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ‘তিয়ান-ই’ নামের ভাসমান ক্রেনটি ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের স্প্যানটিকে বহন করে রওনা দেয়। এরপর ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারের কাছে এসে পৌঁছায়।

পদ্মা সেতুতে ৪১তম স্প্যান বসানো হচ্ছে। ছবি: তুহিন শুভ্র অধিকারী

পদ্মা সেতুর প্রকৌশলী সূত্র জানিয়েছে, নোঙর শেষে ভাসমান ক্রেনটি বর্তমানে দুই পিলারের মধ্যবর্তী স্থানে আছে। এখন পজিশনিং শেষে সুবিধাজনক স্থানে আসার চেষ্টা করছে। এরপর রাখা হবে দুই পিলারের বেয়ারিংয়ের ওপর। সবকিছু ঠিক থাকলে আজ দুপুরের আগেই দৃশ্যমান হবে পুরো সেতুটি। সকাল থেকে খুঁটিনাটি বিষয়গুলো যাচাই-বাছাই ও শেষ ধাপের পরীক্ষা-নিরীক্ষাও হয়েছে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বোট সারাক্ষণ সেখানে অবস্থান করছে। অন্যান্য নৌযানগুলোকে নিরাপদ দূরত্বে চলাচলের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারের আশেপাশে চলাচলকারী নৌযানগুলো যাতে স্প্যান বসানোর কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত না করে, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

২০১৪ সালের ডিসেম্বরে শুরু হয় পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারে প্রথম স্প্যান বসানো হয়েছিল। পদ্মা সেতু নির্মাণে প্রয়োজন হবে দুই হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্ল্যাব। এ ছাড়া, দুই হাজার ৯৫৯টি রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে। মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তের বসানো স্প্যানগুলোতে এসব স্ল্যাব বসানো হচ্ছে।

ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে পদ্মা সেতুর কাঠামো। সেতুর উপরের অংশে যানবাহন ও নিচ দিয়ে চলবে ট্রেন। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।

আরও পড়ুন:

শেষ স্প্যান প্রস্তুত, বসানো হতে পারে আগামীকাল

পদ্মা সেতুর ৬ কিলোমিটার দৃশ্যমান

Comments

The Daily Star  | English

No justifiable reason to delay nat'l polls beyond Dec: Salahuddin

We have been able to make it clear that there is not even a single mentionable reason to hold the election after December, says the BNP leader

3h ago