খরুচে সাকিব, নাঈম-আকবরের ঝড়, সাব্বিরের ব্যাটে রান
সাকিব আল হাসানের এক ওভারে চার ছক্কা পিটিয়ে শুরুটা দুর্দান্ত করেছিলেন নাঈম শেখ। তার বেধে দেওয়া সুর ধরে পরে দলকে এগিয়ে নিয়েছেন আল-আমিন জুনিয়র- সাব্বির রহমান। লম্বা সময় রান খরা কাটিয়ে পরে সাব্বির পেয়েছেন ফিফটি। পরে ঝড় তুলেন আকবর আলিও। মুশফিকুর রহিম, ইয়াসির আলিদের নিষ্প্রভ থাকার দিনে বড় পূঁজি পেয়েছে ঢাকা।
ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জেমকন খুলনার বিপক্ষে ৭ উইকেটে ১৭৯ রান করেছে বেক্সিমকো ঢাকা। বৃহস্পতিবারও মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে উইকেট ছিল বেশ ভালো। বল ব্যাটে আসছিল দারুণভাবে। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের পরের রাউন্ড নিশ্চিত করতে নামা ঢাকাই পায় আগে ব্যাটিং। শুরুতে ব্যাটসম্যানরাও তা কাজে লাগিয়েছেন বেশ ভালোভাবে। সাকিব ৩ ওভারেই দেন ৩৬ রান। করেননি কোটার শেষ ওভার। আরেক বাঁহাতি স্পিনার নাজমুলের ৪ ওভার থেকে আসে ৫১ রান। মাশরাফি তার চার ওভারে ২৬ রানে পান ১ উইকেট।
টস হেরে ব্যাট করতে গিয়ে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই চোখ কপালে তোলা ঘটনা। সাকিবকে এক ওভারে চার ছক্কায় ২৬ রান নিয়ে নেন নাঈম। এই তরুণ আভাস দিচ্ছিলেন বিস্ফোরক কিছুর। শহিদুল ইসলামের ফুলটসে ১৭ বলে ৩৬ রানে ইতি টানেন তিনি।
এরপরও দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে সাব্বির-আল আমিনের ৬৪ রানের জুটি। তানজিদ তামিমের জায়গায় সুযোগ পাওয়া আল আমিন স্পিন খেলছিলেন দারুণ। নাজমুল ইসলাম অপুর বলে ছক্কা মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ দেওয়ার আগে করেন ২৫ বলে ৩৬।
মুশফিকুর রহিম এসে শিকার হন মাশরাফির। তার বলে পয়েন্টে ঢাকা অধিনায়কের দারুণ ক্যাচ হাতে জমান শামীম পাটোয়ারি। ছন্দে থাকা ইয়াসির আলি কোন বল খেলার আগেই হয়ে যান রানআউট।
দ্রুত ৩ উইকেট হারালেও জড়োসড়ো হয়নি ঢাকা। আকবর আলি নেমেই তুলেন ঝড়। নাজমুলের এক ওভারে তিনিও মেরে দেন ৪ ছক্কা। দারুণ এক ইনিংসের দিকে এগুচ্ছিলেন। হাসান মাহমুদের বলে রান বাড়ানোর তাড়ায় থেমে যান তিনি। মাত্র ১৪ বলে ৩১ করা আকবর ক্যাচ দেন কাভারে।
সাব্বির তুলে নেন ফিফটি। তবে এরপর বেশি এগুতে পারেননি তিনিও। শহিদুলের বলে পুল করতে গিয়ে সোজা ক্যাচ উঠিয়ে দেন।
শেষ দিকে পর্যাপ্ত রান আসেনি। দুইশো পেরুনোর আভাস দিলেও ঢাকা থেমে যায় ১৮০ এর নিচে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বেক্সিমকো ঢাকা: ২০ ওভারে ১৭৯/৭ (নাঈম ৩৬, সাব্বির ৫৬, আল-আমিন জুনিয়র ৩৬, মুশফিক ৩, ইয়াসির ০, আকবর ৩১, মুক্তার ৬*, রবিউল ১ , নাসুম ৫* ; মাশরাফি ১/২৬ , সাকিব ০/৩৬ , শহিদুল ২/৩১, নাজমুল ১/৫১, হাসান ১/২৩, শুভাগত ০/১১)
Comments