বিচারবহির্ভূত হত্যাসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় আসকের ক্ষোভ
দেশে বিচার বহির্ভূত হত্যা, নির্যাতন, গুম, অপহরণ, ধর্ষণ, নারী ও শিশু নির্যাতনসহ নানা মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।
আজ বৃহস্পতিবার আন্তর্জতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে রাজধানীর আসাদগেটে আয়োজিত মানববন্ধনে মানবাধিকার নিশ্চিতসহ ১২ দফা দাবি জানায় আসক।
দাবির মধ্যে রয়েছে- রাষ্ট্রীয় বাহিনীর দ্বারা যে কোনো ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা, যেমন- বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম, হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু, দায়িত্বে অবহেলা এসব অভিযোগ উঠলে তা দ্রুততার সাথে নিরপেক্ষভাবে তদন্ত এবং সম্পৃক্তদের যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে শাস্তি দিতে হবে।
এ পর্যন্ত সংঘটিত সব গুম, অপহরণ ও বিচারবহির্ভূত হত্যার অভিযোগ তদন্তে নিরপেক্ষ কমিশন গঠন করে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে। রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে আটক বা গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা সম্পূর্ণভাবে মেনে চলতে হবে।
নাগরিকদের মতপ্রকাশের অধিকার যাতে খর্ব না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। কোনো ধরনের ভয়ভীতি কিংবা প্রতিহিংসার শিকার হওয়া ছাড়াই নাগরিকরা যাতে এ অধিকার চর্চা করতে পারে সে পরিবেশ তৈরির ওপর জোর দিতে হবে।
গণমাধ্যম ও নাগরিকদের মতপ্রকাশের অধিকারের সাথে সাংঘর্ষিক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অংশীজনদের মতামতের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংশোধন আনতে হবে বলেও দাবি করে আসক।
এছাড়াও, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা বন্ধে কার্যকর সচেতনতামূলক ও প্রতিরোধমূলক কর্মসূচি জোরদার করা। ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিজ বিশ্বাস ও রীতি চর্চার অধিকার ও তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিও জানানো হয়।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আসক জানায়, জাতীয় প্রতিষ্ঠানসমূহ জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, তথ্য কমিশন, আইন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন ও নির্বাচন কমিশনকে কার্যকর করে তুলতে হবে এবং এসব প্রতিষ্ঠানে অবসরপ্রাপ্ত আমলা নিয়োগের যে ধারাবাহিকতা চলছে তা বন্ধ করতে হবে। জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলো যেন স্বাধীনভাবে তাদের ম্যান্ডেট বাস্তবায়ন করতে পারে সে ব্যাপারে সর্বোচ্চ সহযোগিতা ও গুরুত্বারোপ করতে হবে।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে আসকের সিনিয়র উপপরিচালক নিনা গোস্বামী, সিনিয়র সমন্বয়কারী আবু আহমেদ ফয়জুল কবির, দিলীপ পালসহ অর্ধশতাধিক কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
Comments