শুরুর সঙ্গে শেষের মিল নেই তামিমদের
প্রথম ১০ ওভারে ৮৪ রান। কোনো উইকেট না হারিয়েই। স্বাভাবিকভাবেই বড় স্কোর ভেবে নিয়েছিলেন সবাই। কিন্তু এরপর যেন হঠাৎ খেই হারিয়ে ফেলে ফরচুন বরিশাল। রীতিমতো উইকেট হারানোর মিছিলে যোগ দেয় দলটি। তাতে ১৪৯ রানে সন্তুষ্ট থাকতে হয় দলটি।
অথচ দিনের শুরুতে ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন ওপেনার সাইফ হাসান। অধিনায়ক তামিম ইকবালের সঙ্গে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিং করতে থাকেন তিনি। অধিনায়ক এক প্রান্ত ধরে খেললেও হাত খুলে মেরে রানের গতি সচল রাখার কাজটা করেন তিনিই। তামিমের সঙ্গে গড়েন ৮৭ রানের জুটি।
তবে খালি হাতেই ফিরতে পারতেন তামিম। মেহেদী হাসানের করা প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলে জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতে গিয়ে ক্যাচ উঠিয়ে দিয়েছিলেন কভারে। সহজ ক্যাচ ফেলে দেন সৈকত আলী। দলীয় ১৪ রানে জীবন পান আরও একবার। এবার ক্যাচ ছাড়েন অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন নিজেই। ক্যাচ ধরেও বলের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেননি। কিন্তু তারপরও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি তামিম।
বিপজ্জনক হয়ে ওঠা এ দুই ওপেনারকে ফেরান মোসাদ্দেক হোসেন। একদশ ওভারে সাইফকে ফেলেন এলবিডাব্লিউর ফাঁদে। এক ওভার ফের বল করতে এসে তামিমের ক্যাচ নিজেই লুফে নেন তিনি। এরপর আর পিছু তাকাতে হয়নি তাদের। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বরিশাল। আর কোনো ব্যাটসম্যান দায়িত্ব নিতে ব্যর্থ হলে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪৯ রান নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৬ রানের ইনিংস খেলেন সাইফ। ৩৩ বলে ৬টি চার ও ২টি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান তিনি। তামিমের ব্যাট থেকে আসে ৪৩ রান। ৩৯ বলে ৫টি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি। এছাড়া পাঁচ নম্বরে নামা আফিফ হোসেনের ব্যাট থেকে আসে ১৬ বলে ২৮ রান।
চট্টগ্রামের পক্ষে এদিন অসাধারণ বোলিং করেছেন মোসাদ্দেক। ৪ ওভার বল করে মাত্র ১৬ রান খরচ করে ২টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। বেশ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছেন সঞ্জিত সাহাও। ৪ ওভার বল করে ২২ রানের বিনিয়ে পান ২টি উইকেট। ২টি উইকেট পান জিয়াউর রহমানও।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ফরচুন বরিশাল: ২০ ওভারে ১৪৯/৬ (সাইফ ৪৬, তামিম ৪৩, ইমন ১৪, হৃদয় ৪, আফিফ ২৮*, মিরাজ ১, ইরফান ২, সুমন ৬*; নাহিদুল ০/২৮, মেহেদী ০/৩২, সঞ্জিত ২/২২, রুয়েল ০/২২, মোসাদ্দেক ২/১৬, জিয়াউর ২/২৫)।
Comments