দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় করোনা ভ্যাকসিনের সুষ্ঠু বিতরণ চায় ডব্লিউএইচও

রয়টার্স ফাইল ফটো

কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও বাংলাদেশসহ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ভ্যাকসিনের সুষ্ঠু বিতরণ চায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। আজ শুক্রবার সংস্থাটির এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

দুই দিনের এক ভার্চুয়াল বৈঠক শেষে আজ ডব্লিউএইচওর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ড. পুনম ক্ষেত্রপাল সিং বলেন, ‘ভ্যাকসিন উত্পাদন ও নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাগুলোর ভ্যাকসিনের ন্যায্য ও দক্ষ ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী ও নিয়ন্ত্রকদের সঙ্গে ডব্লিউএইচওর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের এটি ছিল দ্বিতীয় আঞ্চলিক বৈঠক। এই অঞ্চলের ১১টি দেশের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ, ভুটান, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড ও তিমুর।

বৈঠকে ভ্যাকসিনের সুষ্ঠু বিতরণ নিয়ে উদ্বেগের পাশাপাশি এ অঞ্চলে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের জরুরি ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় কার্যবিধি এবং ভ্যাকসিনের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়া ও সময়োপযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়।

ড. পুনম সিং বলেন, ‘এ অঞ্চলের সব দেশ এখন কোভিড-১৯ এর জন্য একটি জাতীয় ব্যবস্থাপনা ও ভ্যাকসিন কার্যক্রম পরিকল্পনা তৈরি ও চূড়ান্ত করছে। এসবের মধ্যে নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থা তৈরি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’

তিনি বলেন, ‘ভ্যাকসিন অনুমোদনের জন্য তাৎক্ষণিক নিয়ন্ত্রক সংস্থা প্রতিষ্ঠা এবং ভ্যাকসিন অনুমোদনের জন্য নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সামঞ্জস্য তৈরি করা জরুরি। কারণ জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন, লাইসেন্স পাওয়ার আগেই হয়ে থাকে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের অঞ্চলের দেশগুলোতে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান আছে। এখানে উৎপাদিত ভ্যাকসিন বিশ্বব্যাপী বিতরণ হয়। আমি নিশ্চিত যে এই অঞ্চল এবং বিশ্বের সব অঞ্চলের মানুষ একসঙ্গে “সবার সুস্থতার জন্য” কার্যকর অবদান রাখবে।’

বৈঠকে গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন (গ্যাভি), ইউনিসেফসহ বৈশ্বিক এবং আঞ্চলিক অংশীদাররা অংশ নেয়। এ ছাড়াও, ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ভারতের বায়োটেক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, বায়োলজিক্যাল ই লিমিটেড, ক্যাডিলা হেলথ কেয়ার লিমিটেড, সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড, ইন্দোনেশিয়ার বায়ো ফার্মা লিমিটেড, থাইল্যান্ডের গভর্নমেন্ট ফার্মাসিউটিক্যাল অর্গানাইজেশন (জিপিও), বিওনেট এশিয়া কো লিমিটেড, সিয়াম বায়োসায়েন্স এতে অংশ নেয়।

বৈঠকে বিশেষজ্ঞরা ভ্যাকসিন সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য দেশগুলোকে অভিবাসী, বাস্তুচ্যুত বা প্রত্যন্ত এলাকার জনগোষ্ঠীসহ ঝুঁকিতে থাকা সব জনগোষ্ঠীর ভ্যাকসিন প্রাপ্যতায় উচ্চমানের, পরিপূর্ণ ও সময়োপযোগী কোভিড-১৯ নজরদারির সুপারিশ করেন।

Comments

The Daily Star  | English

Salehuddin urges all to work together to overcome challenges of economy

'We are in the midst of all sorts of challenges,' says the finance adviser

2h ago