সৌম্য-লিটনের ঝড়ে চট্টগ্রামের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ
ছন্দ ধরে রেখে টানা দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নিলেন সৌম্য সরকার। তার সঙ্গে আরেক হাফসেঞ্চুরিয়ান লিটন দাসের আগ্রাসী উদ্বোধনী জুটিতে রান ছাড়াল একশো। তাদেরকে পরপর দুই ওভারে বিদায় করে রানের গতিতে কিছু সময়ের জন্য রাশ টানল মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী। তবে শেষদিকে শামসুর রহমান জ্বলে ওঠায় স্কোরবোর্ডে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ দাঁড় করাল গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম।
শনিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৭৫ রান তুলেছে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা চট্টগ্রাম। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেন সৌম্য। তার ৪৮ বলের ইনিংসে ছিল ৩টি চার ও ৪টি ছক্কা। লিটনের ব্যাট থেকে আসে ৪৩ বলে ৫৫ রান। তিনি মারেন ৫টি চার ও ১টি ছয়। চারে নামা শামসুর অপরাজিত থাকেন ১৮ বলে ৩০ রানে। ৩টি ছয়ের সঙ্গে ১টি চার ছিল তার ইনিংসে।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ শুরু করেন লিটন ও সৌম্য। স্বভাবসুলভ আগ্রাসী ঢঙে ব্যাটিং করতে থাকেন তারা। নান্দনিক সব শটে সীমানাছাড়া করতে থাকেন রাজশাহীর বোলারদের। দুজনই তুলে নেন হাফসেঞ্চুরি। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ১৪.৫ ওভারে তারা যোগ করেন ১২২ রান। চলতি আসরে যে কোনো উইকেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটি এটি। সৌম্যকে উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহানের তালুবন্দি করে এই জুটি ভাঙেন আনিসুল ইসলাম ইমন। পরের ওভারে লিটনও ধরেন সঙ্গীর পথ।
উইকেটে থিতু হতে পারেননি চট্টগ্রামের অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। মোসাদ্দেক হোসেনও বিদায় নেন দ্রুত। ফলে দুর্দান্ত শুরুর পর টানা ৪ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় দলটি। মলিন হতে থাকে তাদের বড় স্কোরের স্বপ্ন। সেখান থেকে শামসুরের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় তারা। তার কল্যাণে শেষ ২ ওভারে চট্টগ্রাম তোলে ৩৭ রান।
২১ রানে ২ উইকেট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার চারে থাকা রাজশাহীর সবচেয়ে সফল বোলার আনিসুল। উইকেটের দেখা পান রেজাউর রহমান রাজা আর মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনও। ১৯তম ওভারে রেজাউর ২টি বিমার করায় বোলার বদলাতে হয় রাজশাহীকে। শেষ ৩টি ডেলিভারি করেন আনিসুল। সবমিলিয়ে ওই ওভার থেকে আসে ২৪ রান।
চট্টগ্রামের প্লে-অফে খেলা নিশ্চিত হয়েছে আগেই। রাজশাহী এখনও রয়েছে অপেক্ষায়। নিজেদের এই ম্যাচের পাশাপাশি বেক্সিমকো ঢাকা-ফরচুন বরিশালের ম্যাচের ফলের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হবে তাদেরকে। একই ভেন্যুতে ওই ম্যাচটি শুরু হবে এদিন বিকাল ৫টা ৩০ মিনিটে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম: ২০ ওভারে ১৭৫/৪ (লিটন ৫৫, সৌম্য ৬৩, মিঠুন ২, শামসুর ৩০*, মোসাদ্দেক ৩, জিয়াউর ১০*; সাইফউদ্দিন ১/৩২,শেখ মেহেদী ০/২৭, আরাফাত ০/১৩, রেজাউর ১/৩৮, সানজামুল ০/১৭, মুকিদুল ০/২৪, আনিসুল ২/২১)।
Comments