দায়িত্বশীল সাইফের পর আফিফ-হৃদয়ের তাণ্ডব

বাঁচা-মরার ম্যাচে বেক্সিমকো ঢাকাকে বড় লক্ষ্য ছুঁড়ে দিলো তামিম ইকবালের দল।
afif and towhid
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে হাফসেঞ্চুরি তুলে নিলেন ওপেনার সাইফ হাসান। তার গড়ে দেওয়া ভিতের উপর দাঁড়িয়ে পরে ঝড় তুললেন আফিফ হোসেন ও তৌহিদ হৃদয়। উইকেটের চারপাশে বাহারি সব শট খেলে মুগ্ধতা ছড়ালেন দুজন। তাতে নিজেদের বাঁচা-মরার ম্যাচে বেক্সিমকো ঢাকাকে বড় লক্ষ্য ছুঁড়ে দিলো তামিম ইকবালের দল।

শনিবার বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের প্রাথমিক পর্বের শেষ ম্যাচে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৯৩ রান তুলেছে বরিশাল।

৪৩ বলে ৫০ রানের ইনিংসে ৮টি চার মারেন সাইফ। চতুর্থ উইকেটে ৩৮ বলে ৯১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ার পথে আফিফ আর হৃদয়ও তুলে নেন ফিফটি। আফিফ ২৫ বলে করেন অপরাজিত ৫০ রান। তার ইনিংসে ছিল ১টি চার ও ৫টি ছয়। হৃদয় মারেন ২টি চার ও ৪টি ছক্কা। তিনি অপরাজিত থাকেন ২২ বলে ৫১ রানে। ইনিংসের শেষ বলে চার মেরে প্রতিযোগিতার দ্রুততম হাফসেঞ্চুরির নজির গড়েন তিনি।

এই ম্যাচে জয় পেলে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীকে পেছনে ফেলে আসরের শীর্ষ চারে নাম লেখাবে বরিশাল। হেরে গেলেও তাদের সামনে সুযোগ রয়েছে প্রাথমিক পর্বের বাধা পাড়ি দেওয়ার। সেক্ষেত্রে বিবেচনায় আসবে রান রেট। অন্যদিকে, মুশফিকুর রহিমের ঢাকা প্লে-অফে উঠেছে আগেই।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে পাওয়ার প্লে দারুণভাবে কাজে লাগান সাইফ। তামিম খেলতে থাকেন দেখেশুনে। প্রতি ওভারেই বাউন্ডারি আদায় করে নেয় এই জুটি। অফ স্পিনার রবিউল ইসলাম রবির করা ষষ্ঠ ওভারে ৩টি চার মেরে দলের সংগ্রহ পঞ্চাশে নিয়ে যান সাইফ।

অষ্টম ওভারে আক্রমণে এসে ৫৯ রানের জুটি ভাঙেন আল-আমিন জুনিয়র। তাকে উড়িয়ে মারতে লং অফে সাব্বির রহমানের হাতে ক্যাচ দেন তামিম। তার ব্যাট থেকে আসে ১৭ বলে ১৯ রান।

saif hassan
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

থিতু হয়ে বিদায় নেন পারভেজ হোসেন ইমন। নিজের প্রথম ওভারেই তাকে ফেরান পেসার মুক্তার আলী। আসরে প্রথম ফিফটি তুলে নেওয়ার পর সাজঘরের পথ ধরেন সাইফ। অভিজ্ঞ ফাস্ট বোলার রুবেল হোসেনের দ্বিতীয় স্পেলে ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেটরক্ষক মুশফিকের গ্লাভসবন্দি হন তিনি।

৪৩ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারানো বরিশালকে আরও চেপে ধরার সুযোগ পেয়েছিল ঢাকা। কিন্তু পেসার শফিকুল ইসলামের ডেলিভারিতে থার্ড ম্যানে আফিফ হোসেনের সহজ ক্যাচ হাতে জমাতে পারেননি বল হাতে খরুচে রবি। উল্টো হয়ে যায় ছক্কা।

জীবন পেয়ে তেড়েফুঁড়ে ব্যাট করতে থাকেন আফিফ। স্লগ করে মুক্তারকে ছয় মেরে সীমানাছাড়া করেন তিনি। এরপর হাত খোলেন হৃদয়। শফিকুলকে মিড উইকেট দিয়ে ছয় মারার পর মুক্তারের বল মাঠের বাইরে পাঠান এক্সট্রা কভার দিয়ে। পরে তারা হয়ে ওঠেন লাগামছাড়া।

নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে মাঝের আট ওভারে রানের গতি ঝুলে গিয়েছিল বরিশালের। সেসময়ে আসে মাত্র ৫৪ রান। শেষ ছয় ওভারে পাল্টে যায় গোটা চিত্র। আফিফ-হৃদয়ের তাণ্ডবে ৮৯ রান তোলে দলটি। মুক্তার-শফিকুলের শেষ দুই ওভারেই আসে ৪০ রান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ফরচুন বরিশাল: ২০ ওভারে ১৯৩/৩ (সাইফ ৫০, তামিম ১৯, পারভেজ ১৩, আফিফ ৫০*, তৌহিদ ৫১*; রুবেল ১/২৮, রবি ০/৪০, নাসুম ০/১৪, শফিকুল ০/৫১, আল-আমিন ১/৫, মুক্তার ১/৪৮)।

Comments

The Daily Star  | English

Abu Sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

13h ago