জিসান হত্যা: আদালতে আরেক শিশুর জবানবন্দি

স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলায় নিখোঁজের নয় দিন পর সাত বছরের শিশু জিসান শেখের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় আরেক শিশু আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।

আজ শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহম্মেদ হুমায়ূন কবির ১২ বছর বয়সী ওই শিশুর জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘শিশু জিসান হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে আরেক শিশু। পরে আদালত তাকে টঙ্গীতে শিশু-কিশোর সংশোধনাগারে পাঠিয়েছেন।'

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সোনারগাঁও থানাধীন তালতলা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক (ইনচার্জ) আহসান উল্লাহ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘জিসান শেখের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই শিশুর খোঁজ করা হয়। তারা দুইজন বন্ধু ছিল। শনিবার ভোরে উপজেলার চড়কামালদি এলাকার নানীর বাড়ি থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদে সে জিসান হত্যার কথা স্বীকার করে।’

তিনি জানান, খেলনা চাওয়ার পর না দেওয়ায়, জিসানের গলা টিপে ধরে শিশুটি। এতে শ্বাসরোধ হয়ে মারা যায় জিসান। পরে, সে জিসানের মরদেহ বস্তায় ভরে রান্না ঘরে লুকিয়ে রাখে এবং পরদিন নানীর বাড়িতে চলে যায়।

পুলিশ পরিদর্শক আহসান উল্লাহ বলেন, ‘জিসান হত্যায় তার সঙ্গে আর কেউ ছিল না বলে শিশুটি জানিয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনার পরই সে সব কিছু বলে দেয়।'

গত ১ ডিসেম্বর দুপুরে উপজেলার মরিচটেক এলাকায় ঘরের সামনে খেলার সময় নিখোঁজ হয় জিসান শেখ। ঘটনার একদিন পর জিসানের বাবা থানায় নিখোঁজের জিডি করেন। ১০ ডিসেম্বর দুপুরে প্রতিবেশী খালেদার রান্না ঘর থেকে জিসানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরদিন সকালে জিসানের বাবা ইলিয়াস শেখে বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে সোনারগাঁও থানায় হত্যা মামলা করেন।

আরও পড়ুন-

নারায়ণগঞ্জে নিখোঁজের ৯ দিন পর শিশুর বস্তাবন্দী মরদেহ উদ্ধার

Comments