মেজর সিনহা হত্যা মামলায় ১৫ জনের বিরুদ্ধে র‌্যাবের চার্জশিট

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় পুলিশের গুলিতে নিহত অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে র‌্যাব।
সিনহা মো. রাশেদ খান। ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় পুলিশের গুলিতে নিহত অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে র‌্যাব।

আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা র‌্যাব সিনিয়র এএসপি খায়রুল ইসলাম কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চার্জশিট জমা দেন। তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

খায়রুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত ১৫ জনের মধ্যে ১৪ জন গ্রেপ্তার আছেন। একজন পলাতক। টেকনাফ থানার প্রত্যাহার হওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় চট্টগ্রাম কারাগারে এবং বাহারছড়া ক্যাম্পের পরিদর্শক লিয়াকত আলী, এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, টেকনাফ থানার কয়েকজন পুলিশ সদস্য, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন জন ও স্থানীয় তিন জনসহ বাকি ১৩ আসামি কক্সবাজার জেলা কারাগারে বন্দি আছেন। এই মামলার আরেক আসামি পুলিশ কনস্টেবল সাগর দেব এখনো পলাতক।

চার্জশিট জমা দিতে সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে বিচারক তামান্না ফারাহ’র আদালতে হাজির হন খায়রুল ইসলাম।

গত ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ৯টার দিকে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর এপিবিএন তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের তৎকালীন পরিদর্শক লিয়াকত আলীর গুলিতে মেজর (অব.) সিনহা নিহত হন। ৫ আগস্ট মেজর সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে পুলিশের নয় সদস্যকে আসামি করে কক্সবাজার আদালতে হত্যা মামলা করেন।

আদালত বাদীর এজাহারটিকে সরাসরি হত্যা মামলা হিসেবে রুজু করার জন্য টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) আদেশ দেন। ওইদিন রাতে আদালতের আদেশনামা টেকনাফ থানায় পৌঁছে এবং নয় আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। পরের দিন অভিযুক্ত সাত আসামি- প্রদীপ কুমার দাশ, লিয়াকত আলী, নন্দদুলাল রক্ষিত, লিটন মিয়া, সাফানুর করিম, কামাল হোসেন ও আবদুল্লাহ আল মামুন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

8h ago