সুপ্রিম কোর্টে মামলা খারিজ, ‘খুবই হতাশ’ ট্রাম্প

Donald Trump
ফক্স নিউজের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

গুরুত্বপূর্ণ চারটি অঙ্গরাজ্যের নির্বাচনের ফলাফল বাতিল চেয়ে টেক্সাসে দায়ের করা মামলা খারিজ হওয়ায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘খুবই হতাশ’ হয়েছেন।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গতকাল শনিবার ফক্স নিউজকে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘আমরা ভোট জালিয়াতি প্রমাণ করেছি। কিন্তু, সুপ্রিম কোর্টসহ কোনো বিচারকেরই সাহস হয়নি— আমি তাদের ওপর খুবই হতাশ।’

ট্রাম্পের এই সাক্ষাৎকারটি আজ রোববার প্রচারিত হবে বলে ফক্স নিউজের সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টেক্সাসে দায়ের করা মামলায় জর্জিয়া, মিশিগান, পেনসিলভানিয়া ও উইসকনসিনের ফলাফল বাতিলের জন্য আবেদন জানানো হয়েছিল।

মামলায় বলা হয়েছিল: জর্জিয়া, মিশিগান, পেনসিলভেনিয়া ও উইসকনসিন অঙ্গরাজ্য সংবিধান লঙ্ঘন করে বিচার বিভাগ বা এক্সিকিউটিভ ফিয়াটের মাধ্যমে তাদের নির্বাচনী আইনকে পরিবর্তন করেছে।

গত শুক্রবার মামলাটি খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালত জানিয়েছে, টেক্সাসের মামলাটি দায়ের করার কোনো আইনি এখতিয়ার নেই।

এ প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেছেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট বলেছে— আমাদের অভিযোগের ভিত্তি নেই। সুতরাং তারা মূলত বলতে চাইছে যে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট, টেক্সাস ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যগুলোর অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই।’

ট্রাম্প শুরু থেকেই কোনো প্রমাণ ছাড়া গত নভেম্বরে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ‘কারচুপি’র অভিযোগ করে আসছেন।

নির্বাচনের প্রাথমিক গণনায় পপুলার ও ইলেকটোরাল কলেজ— উভয় ভোটেই পরাজিত হওয়া সত্ত্বেও, তিনি বারবার নিজেকে বিজয়ী বলে ঘোষণা দেন।

এছাড়াও, যুক্তরাষ্ট্রে করোনা ভ্যাকসিনের অনুমোদনের ক্ষেত্রেও নিজের কৃতিত্ব আছে বলে দাবি করেছেন ট্রাম্প।

গত শুক্রবার দেশটির খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন ফাইজার ও বায়োএনটেক উদ্ভাবিত ভ্যাকসিনকে জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দেয়।

ফক্স নিউজ’কে ট্রাম্প বলেছেন, ‘যদি আমি প্রেসিডেন্ট না হতাম... প্রায় সবার মতে, এমনকি শত্রুরাও এটা মনে করেন যে, যদি আমি প্রেসিডেন্ট না হতাম তবে আগামী পাঁচ বছরেও আপনি ভ্যাকসিন পেতেন না। আমি এফডিএ ও সংস্থাগুলো এবং সংশ্লিষ্ট অন্য সবাইকেই এমনভাবে চাপের মুখে ফেলেছি যে চাপে কেউই আর কখনও পড়েননি। এখন আপনি এটা ব্যবহারও করতে পারছেন।’

এছাড়াও, সংবাদ প্রতিবেদন মতে, মডার্নার তৈরি আরেকটি ভ্যাকসিন এই মাসের শেষে যুক্তরাষ্ট্রে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Comments

The Daily Star  | English

Pathways to the downfall of a regime

The erosion in the credibility of the Sheikh Hasina regime did not begin in July 2024.

8h ago