বাদ পড়েননি, সুরক্ষা বলয়ের বাইরে যেতে হয়েছিল ইমরুলকে
বেক্সিমকো ঢাকার বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচে একাদশে ছিলেন না ইমরুল কায়েস। টুর্নামেন্টে এখনো বড় ইনিংস খেলতে না পারা জেমকন খুলনার এই বাঁহাতি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান সেদিন পারফরম্যান্সের কারণে বাদ যাননি। জৈব সুরক্ষা বলয়ের বাইরে যাওয়ায় তাকে আইসোলেশনে থাকতে হয়। সেকারণেই খেলতে পারেননি ম্যাচ।
গত ১০ ডিসেম্বরের ম্যাচের আগে ব্যক্তিগত প্রয়োজনে বাসায় যেতে হয়েছিল ইমরুলকে। ফেরার পর করোনাভাইরাস পরীক্ষা করিয়ে কয়েক ঘন্টা পর্যবেক্ষণে থাকতে হয় তাকে।
রোববার মিরপুর একাডেমি মাঠে অনুশীলনের আগে ইমরুল গণমাধ্যমকে জানান সেদিন তার না খেলার কারণ, ‘একাদশে জায়গা হারাতে হয়নি। আমার ব্যক্তিগত পরিবারিক সমস্যার কারণে বাসায় গিয়েছিলাম। কিছু নিয়ম ছিল। আইসোলেশনে ছিলাম। যার জন্য খেলতে পারিনি।’
বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে ৭ ম্যাচ খেলে ১৯.৭১ গড়ে ইমরুল করেছেন ১৩৮ রান। প্রথম দুই ম্যাচেই শূন্য রানে আউট হওয়া এই ব্যাটসম্যান বাকি ম্যাচগুলোতে থিতু হয়েও টানতে পারেননি ইনিংস। ইমরুলসহ আরও কয়েকজনের ধারাবাহিকতার অভাবে ভুগতে হচ্ছে খুলনার টপ অর্ডারকেও।
নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে প্রত্যাশা পূরণ না হলেও একেবারে আশাহত না তিনি, ‘পারফরম্যান্স নিয়ে আমার যে প্রত্যাশা ছিল, আমি ওইভাবে করতে পারি নাই। কিন্তু ঠিক আছে। একটা খেলোয়াড় সবসময় সব টুর্নামেন্টে ভালো খেলে না। এখনও সুযোগ আছে। আরও দুইটা ম্যাচ আছে। চেষ্টা করব জায়গা মতো ভালো খেলার। যখন যেমন, ওই সময়ে ওইভাবে চেষ্টা করব পারফরম্যান্স করার।’
আগামীকাল সোমবার কোয়ালিফায়ার ম্যাচে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের বিপক্ষে নামবে ইমরুলদের খুলনা। টুর্নামেন্টের আট ম্যাচ খেলে সাতটাতেই জিতে উড়তে থাকা চট্টগ্রামের বিপক্ষে আগের হিসাব মিটিয়ে দিতে তারা তৈরি, ‘মানসিকভাবে সবাই খুব ভালো আছে। কারণ, সেমিফাইনাল খেলছি। আমরা দুই নম্বর দল হয়েছি। আমাদের এখানে সুযোগ দুইটা থাকবে। হ্যাঁ, গাজী আমাদেরকে দুইবার হারিয়েছে। অবশ্যই, তারা আমাদের থেকে ভালো ক্রিকেট খেলেছে। কিন্তু যে ভুলগুলা করেছি আমরা শেষ দুইটা ম্যাচে ওদের সঙ্গে, ওইগুলো নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে এবং আজকেও অনেক আলোচনা আবার হবে। আমার মনে হয় যে, ওই জায়গাগুলোতে যদি আমরা ভুল না করি, ইনশাআল্লাহ, আমরা আবার ভালোভাবে ফিরতে পারব।’
Comments