মেজর সিনহার সহকর্মী শ্রিপ্রা ও সিফাতের বিরুদ্ধে ৩ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন
অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা সিনহার দুই সহকর্মীর বিরুদ্ধে দায়ের করা তিন মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দিয়েছে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা।
আজ রোববার কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর উপঅধিনায়ক মেজর মেহেদী হাসান ওই তিন মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গত ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ৯টায় পুলিশের গুলিতে মেজর সিনহা রাশেদ নিহত হওয়ার পরদিন ১ আগস্ট টেকনাফ থানায় দুটি এবং রামু থানায় একটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। রামু থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ধারায় করা মামলায় সিনহা রাশেদের সহকর্মী শ্রিপ্রা দেবনাথকে একমাত্র আসামি করা হয়। তবে, টেকনাফ থানায় মাদক এবং পুলিশকে দায়িত্ব পালনে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা দুই মামলায় একমাত্র আসামি করা হয় সিনহার সঙ্গী শাহেদুল ইসলাম সিফাতকে। পুলিশ তিনটি মামলায় শ্রিপ্রা ও সিফাতকে গ্রেপ্তার করে।
ওই তিনটি মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় পুলিশকে। পরে আদালতে এই তিনটি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তন করে তদন্তভার র্যাবকে দেওয়ার আবেদন করে। আদালত এ বিষয়ে শুনানি শেষে তিনটি মামলার তদন্তভার র্যাবকে দেওয়ার আদেশ দেন।
রামু থানায় দায়ের করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয় র্যাবের সহকারী পুলিশ সুপার বিমান চন্দ্র কর্মকার এবং টেকনাফ থানায় করা মামলা দুইটির তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয় র্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিউদ্দীনকে।
আটদিন কারাগারে থাকার পর শ্রিপ্রা দেবনাথ গত ৯ আগস্ট এবং ১০ আগস্ট শাহেদুল ইসলাম সিফাত জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে জামিন পেয়ে কারাগারে থেকে মুক্তি পান।
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার কক্সবাজার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে মামলা দুটির তদন্তকারী কর্মকর্তারা তদন্ত শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন (ফাইনাল চার্জশিট) দাখিল করেন। একইসঙ্গে অভিযুক্ত আসামিদের মামলা থেকে বেকসুর খালাসের আবেদন করেন। আদালত দাখিল করা চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে আসামিদের মামলার দায় থেকে বেকসুর খালাসের আদেশ দিয়েছেন।’
Comments