ফরিদগঞ্জ পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. মাহফুজুল হকের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার প্রথম স্ত্রী।
আজ সোমবার দুপুরে চাঁদপুর প্রেসক্লাবে মেয়র মাহফুজুল হকের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ তুলে ধরেন সোনিয়া আক্তার।
সংবাদ সম্মেলনে সোনিয়া আক্তার জানান, ১০ বছর আগে মাহফুজুল হকের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তাদের ঘরে তিন সন্তান আছে। মাহফুজুল হক পাঁচ বছর আগে ফরিদগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন। এরপরই তার চারিত্রিক পরিবর্তন শুরু হয়। নেশায় জড়িয়ে পড়া এবং বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মেয়েদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এসবের প্রতিবাদ করলে স্ত্রী সোনিয়া আক্তারকে নির্যাতন করা হতো। কয়েক মাস আগে মেয়র মাহফুজুল হক সোনিয়াকে কোনো কিছু না জানিয়ে কুমিল্লায় দ্বিতীয় বিয়ে করেন।
দ্বিতীয় বিয়ের ঘটনায় প্রতিবাদ করায় বিভিন্নভাবে নির্যাতন এবং ঘর থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ করেন সোনিয়া আক্তার।
এ ছাড়া, সোনিয়ার ভগ্নীপতির কাছ থেকে ঠিকাদারি ও ব্যবসার কথা বলে সাত লাখ ৭০ হাজার টাকা ধার নেয় মেয়র। সেই টাকা চাওয়া হলেও তাকে নির্যাতনের শিকার হতে হয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
বর্তমানে সোনিয়া আক্তার তার তিনি সন্তান ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে দাবি করেন।
এ প্রসঙ্গে মেয়র মাহফুজ বলেন, ‘আমার প্রথম স্ত্রী সোনিয়া আমার সঙ্গে বিয়ের পর থেকে প্রতারণা করে আসছে। কারণ, আমি বিয়ের দেড় মাস পর জানতে পারি সে এর আগেও তার দুই বিয়ে ছিলো। এ অবস্থায় আমি তাকে মেনে নিয়ে ১০ বছর সংসার করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সামনে পৌর নির্বাচন। আমি মনে করি, আমার বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষের সহায়তা নিয়ে সে আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। গত ২২ নভেম্বর আমি ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে আমার স্ত্রীর দ্বারা বার বার নির্যাতনের শিকার হয়ে আসার চিত্র তুলে ধরেছি।’
উল্লেখ্য, গত ২২ নভেম্বর ফরিদগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. মাহফুজুল হক তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ‘পুরুষ নির্যাতনের’ অভিযোগ এনে ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন।
Comments