ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ের পর মাশরাফি বললেন ‘কোনো রহস্য নেই’
যে দুজন বিপদের কারণ হয়ে উঠতে পারতেন, তাদেরকে বিদায় করলেন শুরুতে। এরপর গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের তৃতীয় উইকেট জুটি যখন মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াল, তখন জেমকন খুলনাকে এনে দিলেন গুরুত্বপূর্ণ ব্রেক-থ্রু। শেষদিকে তিন বলের ব্যবধানের নিলেন আরও ২ উইকেট। তাতে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবার মাশরাফি বিন মর্তুজা শিকার করলেন ৫ উইকেট। ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতার পর তিনি জানালেন, ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ের পেছনে কোনো রহস্য নেই।
সোমবার বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের প্রথম কোয়ালিফায়ারে ৪৭ রানের বড় ব্যবধানে জিতে ফাইনালে পা রেখেছে খুলনা। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে তারকাখচিত দলটি টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে তোলে ২১০ রান। বড় লক্ষ্য তাড়ায় চট্টগ্রাম ২ বল বাকি থাকতে গুটিয়ে যায় ১৬৩ রানে। অভিজ্ঞ পেসার মাশরাফি নজরকাড়া নৈপুণ্য দেখিয়ে ৪ ওভারে ৩৫ রান খরচায় নেন ৫ উইকেট। তিনি একে একে বিদায় করেন লিটন দাস, সৌম্য সরকার, মাহমুদুল হাসান জয়, শামসুর রহমান ও মোস্তাফিজুর রহমানকে।
ম্যাচশেষে মাশরাফি বলেন, সঠিক জায়গায় বল করাতেই মিলেছে উইকেট। স্কোরবোর্ডে বড় রান জমা করায় সতীর্থ ব্যাটসম্যানদেরও কৃতিত্ব দেন তিনি, ‘এটায় তো কোনো রহস্য নেই! বল ঠিক জায়গায় করতে হবে, এই একটা জিনিস। আর দ্বিতীয় কথা হচ্ছে যে, টি-টোয়েন্টিতে... প্রথমত, আমরা অনেক রান করেছি। তো সেই সুবিধাটা ছিল। প্রতিপক্ষের উপরও ওই চাপটা ছিল যে, তাদের শট খেলতে হবে। তো সঠিক জায়গায় বল করা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। জানতাম কিছু রান বেরিয়ে যেতে পারে। কিন্তু দিনশেষে ২০১১, ২১২ রান তাড়া করা... এটা অনেক (কঠিন)। মূল ব্যাপারটা হচ্ছে, ঠিক জায়গায় বল করা।’
ওপেনার জহুরুল ইসলাম ৫১ বলে ৮০ রান করে খুলনাকে ভিত গড়ে দেওয়ার পর ঝড় তোলেন ইমরুল কায়েস, অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ও সাকিব আল হাসান। ফলে শেষ ৫ ওভারে আসে ৭৭ রান। দুইশো পেরিয়ে যায় দলটির সংগ্রহ। বিশাল এই স্কোর প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলার পাশাপাশি তাদেরকে স্বাধীনভাবে বোলিং করার সুবিধা দিয়েছে বলেও জানান মাশরাফি, ‘রাতের উইকেট তুলনামূলকভাবে ফ্ল্যাট থাকে। তো যদি ১৮০ বা ১৯০ রান (আমরা) করতাম, তাহলে ওদের জন্য লক্ষ্য তাড়া করতে সুবিধা হতো। তাই ওই বাড়তি ২০ রান ওদেরকে অনেক চাপে ফেলেছে। (পাশাপাশি) বোলিংয়ের ক্ষেত্রে আমাদেরকে স্বাধীনতা দিয়েছে।’
সব ধরনের টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে ১৬৬তম ম্যাচে এসে ৫ উইকেট শিকারের স্বাদ নিলেন মাশরাফি। ২৮.৮১ গড়ে তিনি নিয়েছেন মোট ১৫৩টি উইকেট। অর্থাৎ এদিনই স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে তার উইকেট সংখ্যা দেড়শো ছাড়িয়ে গেছে।
Comments