সূর্যের দেখা নেই লালমনিরহাট-কুড়িগ্রামে, কুয়াশার সঙ্গে বৃষ্টি
ভোর থেকে ঘন কুয়াশার সঙ্গে ঝরছে টিপটিপ বৃষ্টি। বইছে হিমেল বাতাস, দেখা নেই সূর্যের। গত তিন দিন ধরে লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগুন জ্বালিয়েও স্বস্তি আসছে না। পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র না থাকায় বেশি বিপাকে পড়েছেন ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার, তিস্তা ও ধরলা নদীর চরাঞ্চলে হাজারো মানুষ।
লালমনিরহাটের সদর উপজেলার ফুলগাছ গ্রামের দিনমজুর রাহেলা বেওয়া বলেন, ‘কম্বলের অভাবে ঠান্ডায় কাঁপছি। খড় জ্বালিয়ে কোনো রকমে ঠান্ডা দূর করার চেষ্টা করছি।’
আজ মঙ্গলবার সকালে কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের রেকর্ডকিপার সুবল চন্দ্র রায় দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘গত তিন দিন ধরে এ অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক পাঁচ থেকে ১৩ দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠা-নামা করছে। দুদিন ধরে সূর্যের দেখা মিলছে না।
লালমনিরহাট এবং কুড়িগ্রাম জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস সূত্র জানায়, দুই জেলার শীতার্ত মানুষের জন্য এক লাখ ষাট হাজার কম্বলের চাহিদাপত্র সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এর আগে লালমনিরহাটের জন্য ২১ হাজার সাত শ কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া, কম্বল কেনার জন্য ২০ লাখ টাকা ও দুস্থদের জন্য পাঁচ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ এসেছে। কুড়িগ্রামের নয়টি উপজেলার দুস্থদের জন্য ৩৫ হাজার পিস কম্বল ও নগদ ৫৪ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে।
কুড়িগ্রাম জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল জাই সরকার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে দুস্থদের মধ্যে সরকারি বরাদ্দের কম্বল বিতরণ কার্যক্রম চলছে।’
ঠান্ডাজনিত রোগ থেকে বাঁচতে শিশুদের গরম কাপড় পরাতে এবং বয়স্ক মানুষদের ঘরের বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. হাফিজুর রহমান।
Comments