নাসুমকে মারতে উদ্যত হওয়ার ঘটনায় মুশফিকের শাস্তি

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিসিবি জানায়, সতীর্থের সঙ্গে অসম্মানজনক আচরণ করে মুশফিক ক্রিকেটের স্পিরিট বিরোধী অপরাধ করেছেন। মুশফিক নিজের দোষ স্বীকার করে নেওয়ায় আর শুনানির প্রয়োজন হয়নি।
Mushfiqur Rahim
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

ম্যাচের মধ্যে সতীর্থ নাসুম আহমেদকে দুবার তেড়ে গিয়ে মারতে উদ্যত হওয়ায় মুশফিকুর রহিমকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। অশোভন এই আচরণের জন্য তার ম্যাচ ফির ২৫ শতাংশ কেটে রাখা হয়েছে। করা হয়েছে সতর্ক। এবং একটি ডেমেরিট পয়েন্টও পেয়েছেন তিনি।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিসিবি জানায়, সতীর্থের সঙ্গে অসম্মানজনক আচরণ করে মুশফিক ক্রিকেটের স্পিরিট বিরোধী অপরাধ করেছেন। মুশফিক নিজের দোষ স্বীকার করে নেওয়ায় আর শুনানির প্রয়োজন হয়নি।

সোমবার এলিমিনেটর ম্যাচে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে মাঠে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন মুশফিক। ১৩ ও ১৭তম ওভারে দুবার নাসুমকে মারতে যান তিনি। দুই ফিল্ড আম্পায়ার গাজী সোহেল ও মাহফুজুর রহমান ম্যাচ রেফারি রকিবুল হাসানের কাছে প্রতিবেদন জমা দেন। যার ভিত্তিতে ম্যাচের পরদিন সাজা পেলেন বেক্সিমকো ঢাকার অধিনায়ক।  এই টুর্নামেন্টে চার ডিমেরিট পয়েন্ট হলে এক ম্যাচ নিষেধাজ্ঞায় পড়বেন এই তারকা।

আরও পড়ুন-তীর্থ নাসুমকে খেলার মধ্যে দুবার মারতে উদ্যত মুশফিক

নিজের এই আচরণের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে মঙ্গলবার সকালেই নিজের ফেসবুকে বার্তা দিয়েছেন মুশফিক। নাসুমকে পাশে বসিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন সবার কাছে। আগামীতে এই ধরণের অন্যায় আর করবেন না বলেও আশ্বস্ত করেছেন তিনি।

আরও পড়ুননাসুমকে মারতে উদ্যত হওয়ার ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন মুশফিক

প্রথম ঘটনাটি ছিল ১৩তম ওভারে। বল করতে আসা নাসুম আফিফ হোসেনের হাতে খান এক ছক্কা। পরের বলে শর্ট মিড উইকেটে ঠেলে সিঙ্গেল নিতে গেলে রান আটকাতে দৌড় দেন বোলার নাসুম ও কিপার মুশফিক দুজনেই। একসঙ্গে দুজন জড়ো হওয়ায় ব্যাটসম্যানদের রান আউটের সুযোগ তৈরি করা যায়নি। মুশফিক তখন বল ধরে নাসুমের দিকেই রেগেমেগে থ্রো করতে উদ্যত হন। শর্ট মিড উইকেটে কোন ফিল্ডার না থাকায় বোলারের ছুটে যাওয়া ছিল বেশ স্বাভাবিক।

পরের ঘটনা ১৭তম ওভারে। তখন খেলায় অনেকটা নিয়ন্ত্রণ ঢাকার। শফিকুল ইসলামের বলে ফিফটি করা আফিফের ম্যাচ যায় উইকেটের পেছনে। সেই ক্যাচ পেছনে সরে হাতে জমান মুশফিক। শর্ট ফাইন লেগে বলের অনেক কাছে থাকা থাকা নাসুমও চলে আসেন ক্যাচ নিতে। দুজনের ধাক্কা প্রায় লেগেই যাচ্ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ধাক্কা লাগেনি। এবারও আবেগ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় মুশফিকের। বল হাতে থাকা অবস্থায় নাসুমকে প্রায় ঘুষি মারতে উদ্যত হতে দেখা যায় তাকে।

ঘটনা দুটি বিস্ময়ে হতভম্ব করে দেয় সবাইকে। প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়ের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি, মারামারির ঘটনা থাকলেও নিজ দলের খেলোয়াড়কে কেউ মারতে উদ্যত হচ্ছে এমন দৃশ্য ক্রিকেট ইতিহাসেই বিরল। পুরো ম্যাচেই অবশ্য মুশফিককে ফিল্ডারদের নিয়ে চরম ক্ষিপ্ত, বিরক্ত হতে দেখা গেছে।

পরে ওই ম্যাচ ৯ রানে জিতেছিল মুশফিকের দল।

 

 

Comments

The Daily Star  | English

Over 5,500 held in one week

At least 738 more people were arrested in the capital and several other districts in 36 hours till 6:00pm yesterday in connection with the recent violence across the country.

14h ago