সিটি করপোরেশনের মতামত নিয়ে ড্যাপের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত: তাজুল ইসলাম

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী এবং ড্যাপের আহ্বায়ক মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, সিটি করপোরেশনের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের মতামত নিয়ে ড্যাপ বাস্তবায়নে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
Tajul Islam.jpg
স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ড্যাপ বিষয়ে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানারস’র সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রীেএবং ড্যাপের আহ্বায়ক মো. তাজুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী এবং ড্যাপের আহ্বায়ক মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, সিটি করপোরেশনের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের মতামত নিয়ে ড্যাপ বাস্তবায়নে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে, তিনি স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানারস’র সদস্যদের সঙ্গে ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) সংক্রান্ত এক মতবিনিময় সভা করেন।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘রাজধানীর উন্নয়নে গৃহীত ড্যাপ বাস্তবায়নে সিটি করপোরেশন মুখ্য ভূমিকা পালন করতে পারে। তাই সিটি করপোরেশনকে অন্তর্ভুক্ত করেই কাজ করা হবে। আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে সবাইকে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।’

এসময় তিনি বলেন, ‘নগরীকে বসবাসের উপযোগী, দৃষ্টিনন্দন, পরিবেশসহ অন্যান্য উপাদান যেন সংরক্ষিত হয়, এসব বিষয় মাথায় রেখে ড্যাপ প্রণয়ন করা হয়েছে। শহরের ক্ষতি হয় অর্থাৎ বসবাসের অনুপযোগী হয় এমন কাজ আর করতে দেওয়া হবে না।’

ড্যাপে যেসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, এগুলো শুধু কাগজে কলমেই সীমাবদ্ধ আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘এটি শুধু কাগজে সীমাবদ্ধতা আছে এমন বলা যাবে না। কারণ, ড্যাপ প্রণয়নের পর থেকে কাজ হয়েছে এবং চলমান আছে।’

পূর্বাচলে যে পরিমাণ মানুষের বসবাসের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে, তার বেশি লোক যেন থাকতে না পারে সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘পূর্বাচলে ১০ লাখ মানুষের বসবাসের জন্য বেইজ লাইন নির্ধারণ করা হয়েছে। সে অনুযায়ী রাস্তা-ঘাট, ভবনের উচ্চতা, নাগরিক সুযোগ-সুবিধাসহ যাবতীয় কিছু নির্ধারণ করা আছে। এখন ওই এলাকায় যদি ১০ লাখের বেশি লোক বসবাস করে, স্বাভাবিকভাবেই তা আর বাসযোগ্য অবস্থায় থাকবে না।’

সভায় নগর পরিকল্পনাবিদরা দেশের প্রতিটি পৌরসভায় বিশেষ করে প্রথম শ্রেণীর পৌরসভাগুলোতে একজন করে নগর পরিকল্পনাবিদ নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘তাদের দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক। কারণ পৌরসভায় নগর পরিকল্পনাবিদ থাকলে পরিকল্পিত অবকাঠামো নির্মাণ, প্রকল্প প্রণয়ন ও যাচাই-বাছাইসহ সবকিছু প্ল্যান করতে পারবে।’

বৈঠকে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এবং ড্যাপের প্রকল্প পরিচালক ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানারস’র সভাপতি ড. আকতার মাহমুদসহ নগর পরিকল্পনাবিদরা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় নগর পরিকল্পনাবিদরা তাদের মতামত তুলে ধরেন এবং তাদের দেওয়া পরামর্শ ড্যাপ বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে উল্লেখ করেন ড্যাপের আহ্বায়ক ও মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

Comments