সীমান্তে যৌথ টহলে সম্মত বাংলাদেশ-মিয়ানমার মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ

ছবি: স্টার

ইয়াবা চোরাচালান বন্ধে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সীমান্তে যৌথ টহল ও একটি লিয়াজোঁ অফিস স্থাপনের বিষয়ে একমত হয়েছে দুই দেশের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ। আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) ও মিয়ানমারের ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট বিভাগের (ডিইডি) মধ্যে এক ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সভায় দুই দেশের কর্তৃপক্ষ চোরাকারবার রোধে নাফ নদীতে আরও গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় ও নজরদারি করার প্রতিশ্রুতি দেয়।

সভা শেষে ডিএনসি মহাপরিচালক মুহাম্মদ আহসানুল জব্বার সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘সভায় ইয়াবা পাচারের বিষয়ে বাংলাদেশ জোর দিয়েছে এবং মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ বিষয়টি অস্বীকার করেনি।’

তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ মিয়ানমারকে ৪৯টি গোপন মাদক কারখানার বিষয়ে গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করেছে। সীমান্তবর্তী এলাকার এসব কারখানাগুলোতে ইয়াবা তৈরি হয়।’

‘আজকের বৈঠকে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মংডু, রাখাইন ও শান রাজ্যের বিভিন্ন গোপন কারখানায় অভিযান চালিয়েছে বলে জানিয়েছে,’ যোগ করেন তিনি।

সভায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের যৌথ সীমান্ত টহল এবং লিয়াজোঁ অফিস স্থাপন নিয়ে আলোচনা হয়।

তবে, এগুলো কবে থেকে হবে, তা স্পষ্ট করে বলতে পারেনি ডিএনসি কর্তৃপক্ষ। তারা জানায়, এর জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়নি।

ডিএনসি উপপরিচালক মনজুরুল ইসলাম জানান, সভায় মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ গত ১১ মাসে অভিযানে ৩১ কোটিরও বেশি ইয়াবা জব্দ ও সাত হাজার ৫৪৯টি মামলা করেছে বলে জানিয়েছে।

বাংলাদেশ মাদক উত্পাদনকারী দেশ নয়, তবে ইয়াবা ও অন্যান্য মাদক পাচারের রুট হিসেবে বাংলাদেশকে ব্যবহার করা হয় বলে ডিএনসি সভায় জানায়।

Comments

The Daily Star  | English

A budget without illusions

No soaring GDP promises. No obsession with mega projects. No grand applause in parliament. This year, it’s just the finance adviser and his unemotional speech to be broadcast in the quiet hum of state television.

6h ago