হোয়াইট হাউজ ছাড়ার পর ট্রাম্পের ভবিষ্যৎ ‘অনিশ্চিত’
ডোনাল্ড ট্রাম্পকে কিছুদিন পরেই হোয়াইট হাউজ ছেড়ে চলে যেতে হবে। তবে তিনি এত সহজে ছাড়া পাচ্ছেন, এমন নয়। সামনের দিনগুলোতে তার জন্য অপেক্ষা করছে বেশ কঠিন সময়।
রয়টার্স জানায়, ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ট্রাম্প আরেকবার চেষ্টা করতে পারেন। তবে তার সামনে ঝুলছে বেশ কিছু মামলা ও ব্যবসায়িক চ্যালেঞ্জ।
তবে সেটিও পুরোপুরি তার নিয়ন্ত্রণে থাকবে না। তিনি প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার আগে তার পরিবারের ব্যবসা সংক্রান্ত বেশ কিছু সিভিল ও ফৌজদারি মামলা ছিল। এসব মামলায় আবার জড়িয়ে পড়তে হবে ট্রাম্পকে।
ম্যানহাটন জেলা অ্যাটর্নি সাইরাস ভ্যান্স ট্রাম্প ও তার পারিবারিক প্রতিষ্ঠান ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের বিষয়ে তদন্ত পরিচালনা করছিলেন। তদন্তটি মূলত ২০১৬ সালের নির্বাচনের আগে একটি অর্থ কেলেঙ্কারির বিষয়ে, ট্রাম্প অবশ্য তা অস্বীকার করেছিলেন।
তবে ভ্যান্স কর্তৃক সম্প্রতি আদালতে জমা দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদনে ব্যাংক, কর ও বীমা জালিয়াতির পাশাপাশি ব্যবসায় মিথ্যা তথ্যের উল্লেখ আছে। ট্রাম্প অবশ্য এই মামলাটিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও হয়রানিমূলক বলে অভিহিত করছেন।
নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিয়া জেমস ট্রাম্প ও তার পারিবারিক প্রতিষ্ঠানের সক্রিয় কর জালিয়াতির তদন্ত করছেন।
ট্রাম্পের ভবিষ্যৎ তার প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন সময়ের মতোই অমার্জিত, দুর্বিনীত ও উদ্ধত হবে। সবসময় এক ধরনের সরব উপস্থিতির তৃষ্ণা ট্রাম্পকে জর্জ ডব্লিউ বুশ কিংবা জিমি কার্টারের মতো নিভৃতচারী হতে দেবে না।
রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় সফল ট্রাম্পের টেলিভিশনের পর্দায় সরব উপস্থিতি সবসময় তাকে সবার চোখের সামনেই রেখেছিল এতদিন। এখন পর্যন্ত নির্বাচনে পরাজয় স্বীকার করেননি তিনি। ভিত্তিহীন ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তুলেছেন।
রিয়েলিটি সিরিজ ‘দ্য অ্যাপ্রেন্টিস’র সাবেক তারকা ট্রাম্প তাকে স্পটলাইটে রাখার জন্য বিভিন্ন নতুন মিডিয়ার সঙ্গে আলোচনা করেছেন। পরামর্শদাতারা জানান, তিনি একটি টেলিভিশন চ্যানেল কিংবা একটি সামাজিক মিডিয়া সংস্থার সঙ্গে কথা বলছেন।
ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র ফক্স নিউজের মুখোমুখি হবে চ্যানেলটি। ট্রাম্প ফক্স নিউজের ওপর বিরক্ত বলে জানিয়েছেন তার সঙ্গীরা।
Comments