কক্সবাজার সৈকতে বঙ্গবন্ধুর সর্ববৃহৎ বালির ভাস্কর্য
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী, মহান স্বাধীনতার বিজয়ের ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে ও কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্টে নির্মাণ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর সর্ববৃহৎ বালির ভাস্কর্য।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় জাতীয় সংগীত পরিবেশন, মানববন্ধন ও আকাশে ১০০ কবুতর উড়িয়ে ভাস্কর্যটির উদ্বোধন করা হয়।
এ উপলক্ষে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন কক্সবাজার সদর আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, জেলা পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান, সিভিল সার্জন মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক কামাল হোসেন চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল আবছার, মোহাম্মদ আলী, ভাস্কর্য নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ব্র্যান্ডিং কক্সবাজারের প্রধান নির্বাহী ইশতিয়াক আহমদ জয় প্রমুখ।
ভাস্কর্য নির্মাণ দলের প্রধান শিল্পী কামরুল ইসলাম শিপন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছেন, ‘জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় নির্মিত ভাস্কর্যটির উচ্চতা ৬ ফুট এবং প্রস্থ ১৪ ফুট।’
‘বালি দিয়ে তৈরি এটি এ যাবৎকালে দেশে বঙ্গবন্ধুর সর্ববৃহৎ ভাস্কর্য’ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেছেন, ‘ভাস্কর্যটি ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সৈকতে রাখা হবে। এরপর জেলা প্রশাসন ভাস্কর্যটি সরিয়ে নিবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ১০ শিক্ষার্থী এক সপ্তাহে ভাস্কর্যটি নির্মাণ করেছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন গণমাধ্যমকে বলেছেন, কুষ্টিয়ায় জাতির পিতার ভাস্কর্যের প্রতি যে অবমাননা করা হয়েছে তার প্রতিবাদে বিশ্বের দীর্ঘতম সাগর সৈকতে বঙ্গবন্ধুর বৃহৎ বালির ভাস্কর্য তৈরি করে কক্সবাজারবাসী এই বার্তা দেশবাসীকে দিতে চায় যে— পৃথিবী যতদিন আছে ততদিন জাতির পিতার অস্তিত্ব থাকবে।’
এদিকে সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্টের আরেক অংশে কক্সবাজার আর্ট ক্লাবের সদস্যরা নির্মাণ করছে বালির পদ্মা সেতুর ভাস্কর্য।
Comments