রাশিফল লেখা আলোকিত মানুষটির কিছু কালজয়ী গান

Kausar Ahmed Chowdhury
কাওসার আহমেদ চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

কাওসার আহমেদ চৌধুরী নামটা উচ্চারণ করলে অনেকেই বলেন ‘রাশিফল লিখেন সেই মানুষটা তো’। রাশিফল লেখার আড়ালে তার লেখা অসাধারণ কিছু গান রয়েছে।

কাওসার আহমেদ চৌধুরী স্বনামখ্যাত একজন গীতিকবি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও চিত্রশিল্পী। তিনি ১৯৪৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর সিলেট জেলায় জন্মগ্রহণ করেছেন।

আজ ৭৬ বছরে পা রাখলেন এই বরেণ্য গীতিকবি।

তার কয়েকটি কালজয়ী গানের মধ্যে রয়েছে কুমার বিশ্বজিতের গাওয়া ‘যেখানেই সীমান্ত তোমার সেখানেই বসন্ত আমার’, নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরীর গাওয়া ‘আজ এই বৃষ্টির কান্না দেখে’, লাকী আখন্দের গাওয়া ‘আমায় ডেকো না ফেরানো যাবে না’, সামিনা চৌধুরীর গাওয়া ‘কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে রাতের নির্জনে’ ও ‘বলো না তুমি কোথায়?’

এছাড়াও রয়েছে— ফিডব্যাকের ‘মৌসুমি কারে ভালোবাস তুমি’, আইয়ুব বাচ্চুর গাওয়া ‘এই রুপালি গিটার ফেলে’, ফেরদৌস ওয়াহিদের কণ্ঠে ‘পলাতক সময়ের হাত ধরে’ ও নিলয় দাসের গাওয়া ‘কত যে খুঁজেছি তোমায়’।

মাত্র ১১ বছর বয়স থেকেই কবিতা ও জ্যোতিশাস্ত্রের প্রতি তার ভালো লাগার সূচনা হয়েছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় ভর্তি হয়ে স্বপ্ন দেখেছিলেন চিত্রশিল্পী হবেন। চিত্রনির্মাতা হওয়ার ইচ্ছাও ছিল তার। ভারতের প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার ঋত্বিক ঘটকের সঙ্গে পরিচয় ও বন্ধুত্ব গড়েছিলেন তিনি।

কাওসার আহমেদ চৌধুরীর লেখা কবিতা পড়ে মুগ্ধতা প্রকাশ করেছিলেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। কলকাতার দেশ পত্রিকায় তার কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। তার একমাত্র কবিতার বই ঘুম কিনে খাই

কণ্ঠশিল্পী খন্দকার ফারুক আহমেদের হাত ধরে কাওসার আহমেদ চৌধুরীর গান লেখা শুরু হয়। তাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। সংগীত পরিচালক সুজেয় শ্যাম, শেখ সাদী খান, মোহাম্মদ আলতাফ হোসেনের সঙ্গে আড্ডা দিতেন তিনি। সেখানে মাঝেমধ্যে আসতেন নাট্য ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর, কবি নির্মলেন্দু গুণসহ আরও অনেকেই।

নির্মলেন্দু গুণের  প্রথম কাব্যগ্রন্থ প্রেমাংশুর রক্ত চাই’র প্রচ্ছদ-নকশা করেছিলেন কাওসার আহমেদ চৌধুরী।

Comments

The Daily Star  | English
Domestic violence killing women in Bangladesh

Domestic violence in Bangladesh: When numbers speak of the silence

When we are informed that 133 women have been killed by their husbands in seven months, it is no longer just a number.

8h ago