বিজয় দিবসে কালো কাপড়ে ঢাকা পড়ল মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য

বগুড়ায় মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ‘বীর বাঙালি’ সংস্কারের নামে বিকৃত করার অভিযোগে সেটি কালো কাপড়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে।
মূল ভাস্কর্য (বামে), সংস্কারের পরের অবস্থা (ডানে)

বগুড়ায় মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ‘বীর বাঙালি’ সংস্কারের নামে বিকৃত করার অভিযোগে সেটি কালো কাপড়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে।

আজ বিকেলে বগুড়া জেলা যুবলীগের সভাপতি শুভাশীষ পোদ্দার লিটন বগুড়া পর্যটন মোটেলের সামনে বনানী মোড়ে সদলবলে ভাস্কর্যটি কালো কাপড়ে ঢেকে দেন।

বিজয় দিবসে কেন ভাস্কর্যটি কালো কাপড়ে ঢেকে দেওয়া হলো, জানতে চাইলে শুভাশীষ পোদ্দার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘২০১৬ সালে ভাস্কর্যটি ভেঙে গিয়েছিল। পৌরসভার উদ্যোগে এটি সংস্কার করা হয় কিন্তু সংস্কারের পর সেটি আর আগের মতো নেই। মূল ভাস্কর্যে রাইফেল কাঁধে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে খালি পায়ে শান্তির পায়রা অবমুক্ত করার দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা হলেও সংস্কারের পর অনেকটা পাক সেনার মতো দেখাচ্ছে। বড় বড় গোঁফ, পায়ে বুট, পায়রাটিও হাঁসের মতো দেখাচ্ছে। ভাস্কর্যটি নিয়ে সম্প্রতি সমালোচনা শুরু হয়েছে। বিকৃতির বিষয়টি গণমাধ্যমেও এসেছে। তাই আজ সেটা কালো কাপড়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। আমরা পৌরসভার সঙ্গে কথা বলেছি যেন এটাকে আবার আগের মতো করে নির্মাণ করা হয়। ততদিন এটি ঢেকে রাখা হবে।’

কালো কাপড়ে ঢেক দেওয়া হয়েছে ভাস্কর্যটি। ছবি: স্টার

এ ব্যাপারে বগুড়া পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী আবু জাফর মো. রেজা বলেন, ভাস্কর্যটি ভেঙে যওয়ার পর তড়িঘড়ি করে পৌরসভার একজন উপসহকারী প্রকৌশলী কাজটি করেন। এভাবে ভাস্কর্যটি সংস্কার করা উচিত হয়নি। আমরা অনেকগুলো অভিযোগ পেয়েছি। মূল ভাস্কর্য শিল্পীর সন্ধান পেয়েছি। খুব দ্রুতই সেটি আবার আগের মতো করে নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

জানা গেছে, ‘বীর বাঙালি’ ভাস্কর্যটি প্রথমে বগুড়া বিসিক শিল্প নগরীতে স্থাপন করা হয়েছিল। পরে ১৯৯১ সালে এটি বগুড়ার সাতমাথা মোড়ে স্থাপন করা হয়। সাতমাথা সম্প্রসারণ করা হলে ২০০২ সালে ভাস্কর্যটি বনানী গোল চত্বরে স্থাপন করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Ex-public administration minister Farhad arrested

Former Public Administration minister Farhad Hossain was arrested from Dhaka's Eskaton area

3h ago