বড়লেখায় প্রথমবারের মতো স্থায়ী শহীদ মিনারে ফুল দিলো শিক্ষার্থীরা
মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার দুই ইউনিয়নের ২৩টি স্কুলে আগে কোনো স্থায়ী শহীদ মিনার ছিল না। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনোটিতে অস্থায়ীভাবে শহীদ মিনার বানিয়ে আবার কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানে পতাকা উত্তোলন করে দিবস পালন করা হতো।
তবে আজ মহান বিজয় দিবস থেকে তাদের আর অস্থায়ী শহীদ মিনার তৈরি করতে হবে না। এবার স্থায়ীভাবে নির্মিত নতুন স্মৃতির মিনারে শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
শাহবাজপুর আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী হোসনা বেগমের কাছে এ এক অনন্য অনুভূতি। জানায়, নতুন ও স্থায়ী শহীদ মিনারে আজ আমরা শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়েছি। শিক্ষকেরা শহীদ মিনার নিয়ে আলোচনা করলেন। মহান বিজয় দিবসে এমন অনুভুতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।
দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন বলেন, লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্ট-৩ এর আওতায় দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নের ১৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনারে ব্যয় হয়েছে ৯ লাখ ৫৪ হাজার টাকা। একই প্রকল্পের আওতায় উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের ৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৩ লাখ টাকা।
উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আহমদ জুবায়ের লিটন বলেন, বিভিন্ন জাতীয় দিবসে বীর শহীদদের প্রতি শিশুরা যাতে শ্রদ্ধা জানাতে পারে এবং দিবসগুলোর তাৎপর্য উপলব্ধি করতে পারে সে জন্য শহীদ মিনার নির্মাণের উদ্যোগ নিই।
বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শামীম আল ইমরান বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলোতে আগে শহীদ মিনার ছিল না। ইউনিয়ন পরিষদের এলজিএসপির প্রকল্প থেকে শহীদ মিনার তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া যেসব বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই সেগুলোতে তৈরি করে দেওয়া হবে।
Comments