অসদাচরণের অভিযোগে অব্যাহতির নির্দেশ

রেজিস্ট্রার উপস্থিত থাকায় রাবি ভর্তি কমিটির সভা স্থগিত

রাবি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। ফাইল ছবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুল বারী উপস্থিত থাকায় ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত সভা বর্জন করেছেন শিক্ষকরা। আজ বৃহস্পতিবার বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে উপাচার্য অধ্যাপক এম আবদুস সোবহানের সভাপতিত্বে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত মূল কমিটির সভা হওয়ার কথা ছিল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক আজিজুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছেন, ‘বিশেষ কারণে’ সভা স্থগিত করা হয়েছে। শিগগির এই সভা আবারও অনুষ্ঠিত হবে।

সূত্র জানায়, আব্দুল বারীর উপস্থিতি নিয়ে সভার শুরুতেই আপত্তি জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। ৪০ মিনিটের মধ্যে সভা স্থগিত হয়ে যায়। অনিয়ম ও অসদাচরণের অভিযোগে অধ্যাপক আব্দুল বারীকে অব্যাহতি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তারপরও ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত সভায় তিনি উপস্থিত থাকায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

গত ১০ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব নিলীমা আফরোজ স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা ২০১৫ এর শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করে ২০১৭ এর পরিবর্তিত নীতিমালায় শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ওই নীতিমালা পরিবর্তন এবং শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত করতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউসিজি) কমিটি গঠন করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুল বারী তদন্ত কমিটিকে বিভিন্ন পর্যায়ে অসহযোগিতা করেছেন, যা অসদাচরণের সামিল। তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী তাকে রেজিস্ট্রারের পদ থেকে অব্যাহতি প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ ক্রমে অনুরোধ করা হলো— বলা হয় চিঠিতে।

সভায় উপস্থিত শিক্ষকরা বলেন, রেজিস্ট্রারের উপস্থিতিতে তারা কোনো ধরনের সভায় অংশগ্রহণ করবেন না।

ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের সভাপতি সুলতানুল ইসলাম টিপু দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘সভার শুরুতেই আমরা আপত্তি জানিয়েছিলাম যে, সরকার থেকে যেহেতু রেজিস্ট্রারকে অব্যাহতির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাই তিনি এখন অভিযুক্ত এক জন ব্যক্তি। তার অধীনে আমরা কোনো সভা করবো না। এই সভা চালু রাখতে গেলে, তাকে সভাস্থল ত্যাগ করতে হবে। পরবর্তীতে সভায় উপস্থিত অধিকাংশ শিক্ষকদের তোপের মুখে সভা স্থগিত করে কর্তৃপক্ষ।’

ইংরেজি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আজকের সভায় আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি, রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় তা বাস্তবায়ন করতে হবে। তারপরে সভা ডাকতে হবে। তার উপস্থিতিতে আমরা আর কোনো সভা করবো না।’

Comments

The Daily Star  | English

No justifiable reason to delay nat'l polls beyond Dec: Salahuddin

We have been able to make it clear that there is not even a single mentionable reason to hold the election after December, says the BNP leader

5h ago