বৈদেশিক মুদ্রা সরকারি প্রকল্পে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত বাজেটের আগেই: অর্থমন্ত্রী
বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ থেকে সরকারি প্রকল্পে অর্থ ব্যবহারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সরকার। আগামী বাজেটের আগেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল।
আজ বৃহস্পতিবার সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত সভায় সিঙ্গাপুর থেকে জুম মিটিংয়ে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘শিগগির আমাদের রিজার্ভ ৫০ বিলিয়ন অতিক্রম করবে। দেশের বাইরে বিনিয়োগ করলে এক বা দুই শতাংশ লাভ পাওয়া যায়। যে কারণে প্রধানমন্ত্রী বৈদেশিক মুদ্রা সরকারি প্রকল্পে ব্যবহারের চিন্তা করছেন। আশা করা যায়, আগামী বাজেটের আগেই তিনি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।’
এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যেও শুধু ডিসেম্বরের ১৪ দিনে এক দশমিক ০৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। গত অর্থবছরে এই সময়ে যা ছিল ৮৬৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত পাঁচ মাসে মোট ১০ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল। ২০২০-২১ অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। প্রবাসী আয়ের ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত থাকায় সরকারের সময়োপযোগী দুই শতাংশ নগদ প্রণোদনাসহ বিভিন্ন উদ্যোগের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে।
বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪২ দশমিক ০৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। গত এক বছরে রিজার্ভ বেড়েছে এক হাজার কোটি ডলারের বেশি। গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত রিজার্ভ ছিল ৩২ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার। গত ২৯ অক্টোবর তা প্রথমবারের মতো ৪১ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। মাত্র দেড় মাসের ব্যবধানে তা বেড়ে ৪২ দশমিক ০৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রেকর্ড গড়েছে। রিজার্ভের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে রেমিট্যান্সের অন্তঃপ্রবাহ— বলা হয় বিবৃতিতে।
Comments