তরুণদের পারফরম্যান্সে প্রতিযোগিতার চাপ দেখছেন মাহমুদউল্লাহ
বিদেশি ক্রিকেটার ছাড়া একটা টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট হওয়ায় আলোয় আসার সুযোগ পেয়েছেন দেশের তরুণ অনেক ক্রিকেটার। বিশেষ করে যুব বিশ্বকাপজয়ী দলের তরুণরা নিজেদের মানসিকতার পরিচয় রেখেছেন আলাদাভাবে। টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ মনে করছেন, তাদের পারফরম্যান্সে সব ক্রিকেটারের মধ্যেই একটা প্রতিযোগিতা তৈরি হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে খেলার ধরণ,পরিসংখ্যান, দলের জয়ে প্রভাবে হিসেবে সিনিয়রদের ছাপিয়ে গেছেন অনেক তরুণ। লিটন দাস, সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্তর মতো অপেক্ষাকৃত অভিজ্ঞরা থেকেছেন ব্যাটিং পারফরম্যান্সের শীর্ষে। উঠতি তারকাদের মধ্যে নাঈম শেখ, ইয়াসির আলি রাব্বিরাও চিনিয়েছেন নিজেদের। তাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দারুণ প্রভাব তৈরি করেছেন পারভেজ হোসেন ইমন, আকবর আলি, তৌহিদ হৃদয়, শামীম পাটোয়ারিরা।
বোলিংয়ে মোস্তাফিজুর রহমানের অভিজ্ঞ কব্জির ঝাঁকুনির সঙ্গে মুন্সিয়ানা দেখাতে দেখা গেছে শরিফুল ইসলামকে। স্পিনে রাকিবুল হাসান জানান দিয়েছেন নিজের প্রস্তুতির।
ফিল্ডিং দিয়েও শামীম, রাকিবুলরাও চিনিয়েছেন তাদের মান। ফাইনালের আগের দিন জেমকন খুলনা ও বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহও মুগ্ধতার কথা জানান এসব তরুণদের নিয়ে, ‘সবমিলিয়ে টুর্নামেন্ট আমার মনে হয় যে খুবই ভালো হয়েছে, খুব ভালো ক্রিকেট খেলা হয়েছে। বিশেষ করে আমি মুগ্ধ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটারদের নিয়ে, তারা যেভাবে পারফর্ম করেছে, সাহসী এবং সেনসেবল ব্যাটিং করেছে। তাদের বোলিং, ফিল্ডিং সবমিলিয়ে পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে দুর্দান্ত। আমার মনে হয় এটা আমাদের সবার জন্যও খুব ভালো একটা প্রতিযোগিতা তৈরি করবে যেটা আমি সবসময় বিশ্বাস করি। আমাদের ক্রিকেটের প্রতিযোগিতা বাড়াতে আমাদের সাহায্য করবে।’
আগামীতে আছে পর পর দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ভয়ডরহীন মানসিকতার সঙ্গে মাঠের নৈপুণ্যে তারা শিগগিরই জাতীয় দলের দরজায় তারা কড়া নাড়ার দাবিবার বলে মনে হচ্ছে মাহমুদউল্লাহর, ‘আমার মনে হয় যারা ভালো পারফর্ম করবে তারাই সেট আপে আসার দাবিদার। আমি যেটা বললাম, তাদের সাহসী খেলা ছিলো এই টুর্নামেন্টে এটা খুব অনুপ্রেরণামূলক এবং আমার মনে হয় এই জিনিসটা সবাইকেই খুব উৎসাহ দিয়েছে। যেটা বললাম সুস্থ প্রতিযোগিতা নিয়ে ক্রিকেট যদি আমরা খেলতে পারি তা সবার ক্রিকেটেরে উন্নতির জন্যই প্রভাব ফেলবে।’
Comments