১ মাসের মধ্যে একইস্থানে ২ বার লঞ্চ ডাকাতি

চাঁদপুরের মতলব উত্তর ও মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার মধ্যবর্তী মেঘনা নদীর ষাটনল এলাকায় একমাসের মধ্যে একইস্থানে দুটি লঞ্চ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

চাঁদপুরের মতলব উত্তর ও মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার মধ্যবর্তী মেঘনা নদীর ষাটনল এলাকায় একমাসের মধ্যে একইস্থানে দুটি লঞ্চ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।

সর্বশেষ গত বুধবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা চাঁদপুরের মতলবগামী এমভি হৃদয় যাত্রীবাহী লঞ্চে দ্বিতীয় ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

ডাকাতির শিকার লঞ্চ যাত্রীরা পুলিশকে জানান, বুধবার সন্ধ্যা পৌনে ছয়টায় নারায়ণগঞ্জ টার্মিনাল থেকে মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনলের উদ্দেশে রওনা দেয়। লঞ্চটিতে আনুমানিক ১২০ থেকে ১৫০ জন যাত্রী ছিলেন। সন্ধ্যা সাতটায় লঞ্চটি মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া লঞ্চ ঘাটে ভেড়ে। সেখানে কিছু যাত্রী ওঠানামার পর আবার ষাটনল লঞ্চঘাটের উদ্দেশে রওনা হয়। এ সময় লঞ্চটিতে যাত্রীর সংখ্যা ছিল ৫০ থেকে ৬০ জন।

সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে লঞ্চটি মতলব উত্তর ও গজারিয়া থানার মধ্যবর্তী এলাকায় পৌঁছালে ১৯ থেকে ২০ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দল স্পিডবোটে করে লঞ্চটিতে হানা দেয়। ডাকাতেরা অস্ত্রের মুখে চালককে জিম্মি করে লঞ্চটি থামিয়ে দেয়। এ সময় তারা কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়লে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তারা নগদ টাকা, ৫০ থেকে ৫৫টি মুঠোফোন, বেশ কয়েকটি হাতঘড়ি ও নারী যাত্রীদের কাছ থেকে স্বর্ণালংকার লুট করে স্পিডবোটে পালিয়ে যায়।

লঞ্চের যাত্রী নয়ন মিয়া বলেন, ‘ডাকাতেরা মুখোশ পরা ছিল। তাদের প্রত্যেকের হাতে ছিল দেশীয় অস্ত্র। লঞ্চে উঠেই তারা ফাঁকা গুলি ছুড়তে থাকে। চিৎকার করলে সবাইকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আমরা কাছ থেকে একটি মুঠোফোন ও নগদ প্রায় পাঁচ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।এভাবে অন্যান্য যাত্রীদের কাছ থেকে মুঠোফোন, ঘড়ি ও নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নেয়।’

এর আগে গত ১৯ নভেম্বর মেঘনা নদীর একই স্থানে ‘এমভি মকবুল-২’ যাত্রীবাহী লঞ্চে ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন মৃধা বলেন, ‘ঘটনাটি জানার পর সেখানে আমার উপজেলার বেলতলী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যদের পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি মেঘনার গজারিয়া এলাকায় ঘটেছে। মামলাও ওই থানায় হবে।’

এ বিষয়ে গজারিয়া থানার ওসি মো. রইস উদ্দিন বলেন, ‘ঘটনা ঘটেছে মতলব উত্তর না গজারিয়া থানা এলাকায়। তদন্ত ও যাচাইয়ের জন্য স্থানীয় নৌ পুলিশকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে এখনো মামলা হয়নি।’

Comments

The Daily Star  | English

Don’t stop till the job is done

Chief Adviser Prof Muhammad Yunus yesterday urged key organisers of the student-led mass uprising to continue their efforts to make students’ and the people’s dream of a new Bangladesh come true.

4h ago