গোলাপি বল বশে আনার পর কোহলির রান আউটে বদলে গেল ছবি
গোলাপি বলে স্যুয়িং আর বাড়তি বাউন্সে ব্যাটসম্যানদের অস্বস্তি হবে। অবধারিত ছিল। ওপেনারদের বাজে শুরুর পর অবশ্যই সময় নিয়ে গোলাপি বলের তাল পেয়ে যায় ভারত। এক পর্যায়ে বড় রানের আভাসই মিলছিল। কিন্তু ফিফটি পেরুনো অধিনায়ক বিরাট কোহলির রান আউটে পর শেষ সেশনে তড়িঘড়ি ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে তারা।
অ্যাডিলেডে দিবারাত্রির প্রথম টেস্টে টস জিতে ব্যাট করতে গিয়ে ৬ উইকেটে ২৩৩ রান তুলে প্রথম দিন পার করেছে ভারত। বৃহস্পতিবার ভারতীয় ব্যাটিংয়ে মূল ভরসা ছিলেন কোহলিই। ১৮০ বলে সর্বোচ্চ ৭৪ রান করেন তিনি। লম্বা সময় ক্রিজে টিকে চেতশ্বর পূজারা করেন ৪৩, আজিঙ্কা রাহানে ৪২।
৯ রান দিয়ে ঋদ্ধিমান সাহা আর ১৫ রান নিয়ে রবীচন্দ্রন অশ্বিন শুরু করবেন দ্বিতীয় দিনের খেলা।
অথচ শেষ সেশন শুরু সময় দিনটা হতে যাচ্ছিল ভারতের। রাহানেকে নিয়ে দারুণ এক জুটিতে স্বচ্ছন্দ ছিলেন কোহলি। সেঞ্চুরির দিকে এগুতে থাকা ভারত অধিনায়ক কাটা পড়েন মূলত নিজের ভুলেই। ন্যাথান লায়নের বলে মিড অনে ঠেলে দিয়েছিলেন রাহানে। নন স্ট্রাইকে থাকা কোহলি কি বুঝে ছুটলেন প্রান্ত বদলের দিকে। অর্ধেক পথে রাহানে তাকে ফিরিয়ে দেওয়ার পর তিনি ফিরতে পারেননি নিজের ক্রিজে।
পরের ১৯ রানের মধ্যেই ভারত হারায় আরও ২ উইকেট। নতুন বল হাতে নিয়েই গোলা ছুঁড়তে আসেন মিচেল স্টার্ক। তার গুড লেন্থ ডেলিভারি হালকা ভেতরে ঢুকছিল। রিভিউ নিয়েও রাহানে পারেননি এলবিডব্লিউ থেকে বাঁচতে। আরেক পাশে হ্যাজেলউড এসে ভেতরে ঢোকা আরেক বলে কাবু করেন হনুমা বিহারীকে।
দিনের বাকিটা সময় ২৭ রানের জুটিতে পার করেছেন ঋদ্ধিমান-অশ্বিন।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিং নিয়ে ভাল শুরু পায়নি ভারত। রোহিত শর্মা না থাকায় মায়াঙ্ক আগারওয়ালের সঙ্গে ওপেন করতে নেমেছিলেন পৃথ্বী শ। এই তরুণ টেস্টে নিজের ফেরার প্রথম সুযোগ করেন হাতছাড়া। দিনের মাত্র দ্বিতীয় বলেই স্টার্ককে উইকেটে টেনে বোল্ড হন তিনি।
তিনে নেমে পরিস্থিতি নিজের নিয়ন্ত্রণে নেন পূজারা। রান করার চেয়ে টিকে থাকার দিকেই মন দেন তিনি। আগারওয়ালকে এক পাশে রেখে চলে তার লড়াই। তবে ১৯তম ওভারে গিয়ে ভাঙ্গে এই জুটি। ১৮ ওভার টিকলেও জুটিতে রান আসে কেবল ৩১। প্যাট কামিন্সের বলে মায়াঙ্কও উইকেটে টেনেই হয়েছেন বোল্ড।
পূজারার সঙ্গে মিলে প্রথম সেশনের বাকিটা অনায়াসে পার করে দেন কোহলি। দৃঢ়তার প্রতিভূ হয়ে থাকা পূজারার ধৈর্য ভাঙ্গা লায়নের অফ স্পিনে। তাদের ৬৮ রানের জুটি শেষ হয় ডিফেন্সিভ শটে। বল ঠেকাতে গিয়ে ব্যাট-প্যাড গলে ক্যাচ যায় ফরওয়ার্ড শর্ট লেগে। থেমে যায় ১৬০ বলে পুজারার ৪৩ রানের সংগ্রাম।
দ্রুত রান আনা যাবে না বুঝে নিয়ে কোহলিও জমে ছিলেন রাহানের সঙ্গে। থিতু হয়েই সাবলীল ব্যাট চালান তারা। জুটি এগুচ্ছিল একশোর দিকে, কোহলির যাচ্ছিলেন তিন অঙ্কের দিকেই। ৮ চারে ৭৪ রান করেন কোন ঝুঁকি ছাড়া। চতুর্থ উইকেটে দুজনের ৮৮ রানের জুটির পর ওই রান আউটের ভুল। যার খেসারতে আপাতত অ্যাডিলেড টেস্টের নাটাই অসিদের হাতেই থাকল।
Comments