ভারতকে অন্তবর্তীকালীন তিস্তা চুক্তি দ্রুত স্বাক্ষরের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

স্টার ফাইল ফটো

তিস্তার পানি ভাগাভাগির বিষয়ে বাংলাদেশ ও ভারত সরকার ২০১১ সালে যে ঐকমত্যে পৌঁছেছিল তার ভিত্তিতে একটি অন্তবর্তীকালীন চুক্তি সই-এর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আজ বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল সম্মেলনে এ বিষয়টি তুলে ধরেন তিনি।  

জবাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি এ বিষয়ে ‘ভারতের আন্তরিকতা এবং তার সরকারের অব্যাহত প্রচেষ্টা’র কথা জানিয়েছেন বলে সম্মেলন পরবর্তী যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতার কারণে তিস্তা চুক্তির বিষয়টি এক দশকেরও বেশি সময় ধরে কার্যত অচলাবস্থার মধ্যে পড়ে আছে।

এছাড়া মনু, মুহুরী, খোয়াই, গোমতি, ধরলা এবং দুধকুমার – এ ছয়টি আন্তঃদেশীয় নদীর পানিবণ্টন সংক্রান্ত চুক্তির কাঠামো কী হবে তা দ্রুত নির্ধারণেও জোর দিয়েছের এই দুই নেতা।

সেচের কাজে কুশিয়ারা নদীর পানি ব্যবহারের জন্য রহিমপুর খালের খনন কাজ যেন সীমান্ত সংশ্লিষ্ট ভারতীয় কর্তৃপক্ষ শেষ করতে দেয়, সে ব্যবস্থা নিতেও অনুরোধ জানানো হয়েছে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে।

এ বিষয়ে প্রস্তাবিত এমওইউ দ্রুত সই এর ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়েছে ভারতীয় পক্ষ, যা করা হলে দুই পক্ষই কুশিয়ারা থেকে তুলে নেয়া পানির পরিমাণ পর্যবেক্ষণ করতে পারবে।

দুই নেতা যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) ইতিবাচক অবদানের কথা স্মরণ করেন এবং দ্রুতই সচিব পর্যায়ের পরবর্তী বৈঠক আয়োজনের কথা বলেন।

কোভিড নাইনটিন প্রসঙ্গও আসে তাদের ভার্চুয়াল বৈঠকে।

এ বিষয়ে ভারতের ‘প্রতিবেশী প্রথম নীতি’র কথা বলেন মোদি। জানান, ভারতে ভ্যাকসিন উৎপাদন শুরু হওয়া মাত্র তা বাংলাদেশে সরবরাহের ব্যবস্থা নেয়া হবে। উভয় নেতা এই ক্ষেত্রে দুই দেশের বেসরকারি খাতের মধ্যে চলমান দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার বিষয়টিও উল্লেখ করেন।

Comments

The Daily Star  | English

Central bank at odds with BPO over Nagad’s future

The discord became apparent after Faiz Ahmed Taiyeb, special assistant to the chief adviser with authority over the Ministry of Posts, Telecommunications and IT, sent a letter to the BB governor on May 12 and posted the letter to his Facebook account recently

3h ago